কোটা বাতিলসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে কাল বুধবার দেশব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোয় একযোগে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে এ ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাল বেলা ১১টায় সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোয় একযোগে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও ফারুক হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে কোনো টালবাহানা ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না। কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। গত ৮ এপ্রিল শাহবাগে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বিনা উসকানিতে পুলিশ রাতভর কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও ছররা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে। এর প্রতিবাদে ৯ এপ্রিল সারা বাংলার ছাত্রসমাজ ফুঁসে ওঠে। এই অবস্থায় সরকারের পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ১৮ সদস্যের একটি দল সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করে। সেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, ৭ মের মধ্যে কোটাপদ্ধতির সংস্কার করা হবে। অথচ এখনো তার বাস্তব কোনো প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। তাই কোটা সংস্কারের দাবিতে কাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শেষে আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন।