 
                                            
                                                                                            
                                        
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল, সংরক্ষণ বা সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বিবেচনাধীন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে জটিলতা আছে, একটু সময় লাগবে।’
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব এ কথা বলেন।
কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে সচিব আরও বলেন, ‘এটা সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে। আমাদের পর্যায়ে এখনো আসেনি। তবে আপনারা যত সহজভাবে এটা বিশ্লেষণ করছেন, তত সহজ নয়। জটিলতা আছে। অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা সেই আলোকে কার্যক্রম নেব।’
কবে শেষ হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা অনুমান করা কঠিন। একটু সময় লাগবে মনে হচ্ছে।’
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত মার্চ মাসে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে। পরে গত ৮ এপ্রিল ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনার পরদিন এই আন্দোলন সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।
কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত শনিবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবস্থান জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান। আজও আন্দোলনকারীদের মারধর করা হয়।