কোচ ছাড়াই হাথুরুর মুখোমুখি টাইগাররা!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বিশ্ব ক্রিকেটে এরই মধ্যে নিজেদের জাত চিনিয়েছে বাংলাদেশ। তারা যেকোনো দলকেই হারাতে সক্ষম। টাইগারদের এমন পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর হিসেবে বলা হয়ে থাকে লঙ্কান কোচ হাথুরুসিংহেকে। সেই তিনিই বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন-এটা পুরনো কথা। আলোচনার বিষয় হচ্ছে, তার শূন্যস্থান পূরণে কাকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি? কিন্তু হঠাৎ করেই বেজে উঠল ভিন্ন সূর। দেশের মাটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে নাকি কোচ ছাড়াই মুখোমুখি হবে টাইগাররা! ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে বোর্ড নাজমুল হাসান পাপনকে তিন ফরম্যাটের অধিনায়করা জানিয়েছেন, হেড কোচ ছাড়া খেলতে তাদের কোনো অসুবিধা হবে না।শনিবার দুপুরে হোটেল র‌্যাডিসনে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক এবং কোচিং স্টাফদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অনেক কথার ভীড়ে তিনি এমন ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন।

নাজমুল হাসান বলেন, আজ জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক এবং কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামত নিয়ে আগামীকাল ১০ ডিসেম্বরও (রোববার) বিসিবি পরিচালক পর্ষদের সভায় আলোচনা হবে। এরপর কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। তবে বিসিবি এখনই, মানে চটজলদি কোনো বিদেশি কোচ নিয়োগ দিতে যাচ্ছে না। আপাতত রিচার্ড হ্যালসল ও পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন আছেন। তাদের নিয়েছি এবং এখানে সুনিল যোশিও আছেন। ফাস্ট বোলিং যিনি ছিলেন, মানে কোর্টনি ওয়ালশ; উনিও আসবেন।’

হেড কোচের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছেন রিচার্ড পাইবাস। রোববার ইন্টারভিউ দেবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্স। কাল চূড়ান্ত হতে পারে নতুন হেড কোচ! আবার না হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। কোচ নিয়োগে দেরিও হতে পারে। কোচ যদি চূড়ান্ত না হয় সেক্ষেত্রে সামনের সিরিজ নিয়ে মাশরাফি, সাকিব ও মুশফিকের মনোভাব বা প্রতিক্রিয়া কী- তা জানার জন্যই আলোচনায় বসেছিলেন বিসিবি বস। সেখানে তারা জানিয়েছেন, কোচ না হলেও আপাতত সামনের সিরিজটা চালিয়ে নিতে পারবেন।

তিন ফরম্যাটের তিন অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা শেষে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা কোচ নির্বাচনের একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এমনও তো হতে পারে আমরা শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে কোনো কোচ নিয়োগই দিলাম না। তাহলে কী হবে? সেজন্য ওদের বলেছি, ওরা নিজেরা মিলে যেন এখন থেকেই একটা পরিকল্পনা করে ফেলে।সামনের সিরিজটা কিভাবে খেলব? জানতে চেয়েছি ওরা আত্মবিশ্বাসী কি না? ওরা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছে, পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী; সামনের সিরিজটা নিজেরাই করতে পারবে। এজন্য কার কী চাওয়া, কী পরিকল্পনা, কিভাবে কাজ করবে, কবে থেকে ক্যাম্প শুরু হবে-বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

রিচার্ড পাইবাস এসে চলে গেছেন। কাল আসছেন আরেক বিদেশি ফিল সিমন্স। এর বাইরে সম্ভাব্য কোচের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কোচ এবং ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য জিয়ফ মার্শের নামও শোনা যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোয় নতুন কাউকে পাওয়া না গেলে হয়ত পাইবাস, সিমন্স ও জিওফ মার্শের তিনজনের মধ্য থেকেই কেউ বাংলাদেশের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।