কেমন ছিল ওপেনার তামিম আর অধিনায়ক তামিমের ব্যাটিং?

:
: ১২ মাস আগে

বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে শেষ হয়ে গেলো তামিম ইকবাল অধ্যায়। ২০০৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২৩- ১৬ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি হঠাৎ করে। নিজ শহর চট্টগ্রামেই দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটিই হয়ে গেলো তামিমের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।

১৬ বছরের ক্যারিয়ারে তামিম বাংলাদেশ ওয়ানডে দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গত আড়াই বছর। এর আগে ২০১৯ সালেও একবার বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অবসর ঘোষণার পর সব মিলিয়ে ব্যাটার তামিম আর অধিনায়ক তামিমের একটা দারুণ পার্থক্য দাঁড়িয়ে গেলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের সামনে।

 

অধিনায়ক হিসেবে ব্যাটার তামিম কেমন ছিলেন এবং অধিনায়কত্ব করা ছাড়া ব্যাটার তামিম কেমন ছিলেন? তার একটি তুলনামূলক চিত্র আঁকার চেষ্টা করা হয়েছে জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য।

২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তামিম ইকবালের। তামিম প্রথম অধিনায়ক হন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। তবে সেটা ছিল ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দল পরিচালনা।

 

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া আইসিসি বিশ্বকাপের ১২তম আসর খেলে মাশরাফি বিন মর্তুজা দেশে ফেরার পর সেটাই ছিল টিম বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ। সেখানে মাশরাফির পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয় তামিমকে।

৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ চরমভাবে পর্যদুস্ত হয়। লঙ্কানরা হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের। তামিমও ব্যাট হাতে হন চরম ব্যর্থ। তিন ম্যাচে সাকল্যে সংগ্রহ ছিল (০, ১৯, ২) ২১ রান।

ওই ৩ ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দল পরিচালনার পর তামিম আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণকালীন বাংলদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হন করোনার পর ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেয়ার পর সর্বশেষ গত ৫ জুলাই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষ টস এবং ক্যাপ্টেন্সি করেন তিনি।

সব মিলিয়ে ভারপ্রাপ্ত এবং পূর্ণকালীন সময়ে দল পরিচালনাসহ অধিনায়ক হিসেবে তামিম খেলেছেন ৩৭ ম্যাচ। যাতে তার সর্বমোট সংগ্রহ ১১৩২ রান। আর ওই ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে ৩ খেলায় ২১ রান বাদ দিলে ৩৪ খেলায় তামিমের স্কোর ১১১১। এর মধ্যে আছে ১টি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফ সেঞ্চুরি।

ক্যারিয়ারের তুলনায় অধিনায়ক তামিমের ব্যাটের ঔজ্জ্বল্য তুলনামূলক কম। তার প্রমাণ মিলবে ছোট্ট পরিসংখ্যানে। তামিমের মোট ওয়ানডে রান ৮৩১৩ (২৪১ খেলায় ২৩৯ বার ব্যাট করে ১২ বার নটআউট থেকে)। যাতে আছে ১৪টি সেঞ্চুরি এবং ৫৬টি হাফ সেঞ্চুরি। বলার অপেক্ষা রাখে না, যা নেই বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারের।

সে তুলনায় ৩৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে মোটে ১টি শতক আর ৯টি অর্ধশতক কম অবশ্যই। অধিনায়ক তামিমের ব্যাটিং গড় আর স্ট্রাইকরেটও ওপেনার তামিমের চেয়ে কম।

ওপেনার তামিমের গড় ৩৬.৬২। অধিনায়ক তামিমের গড় সেখানে ৩৩.২৯। অন্যদিকে ব্যাটার তামিমের স্ট্রাইকরেট ৭৮.৫৪। আর ক্যাপ্টেন তামিমের স্ট্রাইকরেট ৭৬.৮৪।