সোমবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে শেখ রাসেল দিবস ২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চট্টগ্রামের ডিসি থাকা অবস্থায় শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলাম। এই সংবাদ চট্টগ্রামের পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণ ও দৈনিক আজাদী এই সংবাদটি বেশ ফলাও করে ছাপে। এরপর মাত্র একদিনের নোটিশে আমাকে রাতারাতি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলি করা হয়। আমার স্ত্রীকে চট্টগ্রামে রেখে একাই চলে আসতে হয় ঢাকায়। এমনকি তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছেও আমাকে জবাবদিহি করতে হয়। রাজনীতিবিদ না হয়ে, আমলা হয়ে কেন এমন বক্তব্য দিয়েছিলাম, তারই জবাব চাওয়া হয়। কেবিনেট সচিব একদিন আমাকে বললেন “তুমি কি নেতা হয়ে গেছ”।
আলোচনা সভায় শেখ রাসেল হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সকলের কাছে শিশুরা আদরের। এমনকি পশু-পাখির মধ্যেও। অথচ আমরা এমন একটা জাতি শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করলাম। এই নিষ্ঠুরতা মেনে নেওয়া যায় না। স্বাধীনতা ছাড়া আমাদের তেমন কোনো অর্জন নেই। ১৫ই আগস্ট ও কারবালা আমাদের কাছে লজ্জার।’
তিনি আরও বলেন, শেখ রাসেল আমার চেয়ে ২০ থেকে ২৫ বছরের ছোট। এক অদম্য প্রাণ। রাসেল আমাদের জন্য অনেক অবদান রাখতে পারতো অথচ তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এটা অনেক লজ্জার ও ঘৃণার। বাঙালি নামটি সামনে এলেই এই ঘৃণা আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। ইতিহাসে বহু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে,তবে ১৫ই আগস্টের মতো এমন বর্বর ও জঘন্য ঘটনা কোথাও ঘটেনি বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এই পাপবোধ জাতি হিসেবে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। অথচ এই ঘাতকেরা নাকি উচ্চ শিক্ষিত- উচ্চপর্যায়ে কর্মরত ছিলেন, এমন বিরক্তিও প্রকাশ করেন তিনি।
আলোচনা সভায়, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী,বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন ছাড়াও অংশ নেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।