চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রের ভেতরে কিংবা ২০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনসহ কাউকে পাওয়া গেলে তাকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
এ ছাড়া পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে প্রবেশ না করলে তাকে আর প্রবেশ করতে না দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে রোববার ‘জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত’ এক আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (মাউশি), সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।
এতে বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করে আসনে বসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু কেন্দ্রে ওই সময়ের পরেও পরীক্ষার্থীরা প্রবেশ করছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রের আশেপাশে অনেকেই স্মার্টফোন নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সব পরীক্ষার্থীর আবশ্যিকভাবে হলে প্রবেশ ও আসন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং ওই সময়ের পরে কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
তাছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রর অভ্যন্তরে মোবাইল ফোনসহ কাউকে পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার সময় কেবল কেন্দ্র সচিব সাধারণ (স্মার্টফোন নয়) একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফোনটিও কেন্দ্র সচিবের কক্ষে রেখে ব্যবহার করার নিয়ম রয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সবগুলো প্রশ্নই পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফাঁস হয় এবং সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে প্রশ্ন ফাঁসকারীকে ধরিয়ে দিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ৫ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিলেও ফাঁস বন্ধ হয়নি। সর্বশেষ গত রোববার পরীক্ষার দিন আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েও সোমবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হয়েছে।
এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণে গত ৪ ফেব্রুয়ারি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়। রোববার ওই কমিটির প্রথম সভা শেষে তিনি জানান, প্রশ্ন ফাঁসে ব্যবহৃত ৩০০ মোবাইল ফোন নম্বর চিহ্নিত করে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এসব মোবাইল নম্বরের মালিকদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানেও নেমেছে।