কেনার চেয়ে দেখার লোক বেশি, চাহিদা দেশি মাঝারি গরুতে

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

কোরবানি ঈদের বাকি মাত্র পাঁচদিন। ফলে নগরীর একমাত্র স্থায়ী গাবতলী পশুরহাটে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। বর্তমানে হাটে কোরবানির পশু কেনার চেয়ে দেখার লোক বেশি। হাটে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্রেতার চাহিদা দেশি মাঝারি সাইজের গরুতে। গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় এবার গরুর দামও বাড়তি।

মিরপুর-২ নম্বরের রবিউল হক গাবতলী পশুরহাটে এসেছেন কোরবানির গরু দেখতে। তবে কিনবেন ঈদের আগ মুহূর্তে। রবিউল বলেন, ভাড়াবাসায় থাকি, গরু এখন কিনে রাখবো কোথায়? দর-দাম যাচাই করতে এসেছি। দেশি মাঝারি গরু কিনবো। ৪ থেকে ৫ মণ মাংস মিলে এমন গরু কিনবো। তবে গত ঈদের থেকে এবার দাম বাড়তি।’

 

সোমবার (৪ জুলাই) রাজধানীর গাবতলী পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ করেই বেড়েছে উৎসুক জনতা। যাদের মধ্যে কেনার লোক কম। ১০০ জন দেখলে ১০ জন গরু কিনছেন। মূলত যাদের বাড়িতে গরু রাখার জায়গা আছে তারাই গরু কিনছেন, তাও আবার দেশি মাঝারি গরু।

সাড়ে পাঁচ মণ মাংস মিলবে এমন গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। গরুর বাড়তি দাম প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদরের গৃহস্থ হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘গো-খাদ্যের দাম বেশি, হাটে গরু রাখার ভাড়া বেশি, ৩ হাজার টাকা। সব খরচেই আগের থেকে বেশি।’

 

তিনি বলেন, এবার হাটে মিয়ানমারের কোনো গরুর দেখা মেলেনি। ভারতীয় ও নেপালি কিছু গরু দেখা গেছে। এসব গরু অনেক আগে ভারত থেকে এনে লালন-পালন করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা।

গরু বেচাকেনা কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে রফিক ব্যাপারী বলেন, পর পর দুই বছর লোকসান দিয়েছি। এবার আমরা মজা লুইবো। সব গরুতে আল্লাহ দিলে ভালো হবে। তবে বেচাকেনা এখনো লাগেনি। ঢাকার মানুষ ঘুমানোর জায়গা পায় না গরু কিনে রাখবে কোথায়। কাস্টমার লাবেনি। ঈদের দুদিন আগে ক্রেতা লাগবে এখন দেখার পার্টি বেশি।

 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ব্যাপারী হামজা বলেন, ৪৮টা গরু আনছি। দুবার ৫ লাখ টাকা বসান খাইচি (লোকসান)। তবে এবার গরু কম আল্লাহ দিলে ভালো হবে