‘কেএনএফের কার্যক্রম যতদিন থাকবে যৌথ বাহিনীর অভিযান ততদিন চলবে’

লেখক:
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

‘স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গিয়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা ব্যাংক ডাকাতির মতো কার্যকলাপ করে কেউ পার পাবে না। সাধারণ বম জনগোষ্ঠীরাও কেএনএফ’র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সমর্থন করেন না। কেএনএফ সদস্যদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যতদিন থাকবে যৌথ বাহিনীর অভিযান ততদিন চলবে।’

 

সোমবার (১৩ মে) বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে বিকেল ৪টায় রুমায় বিজিবি- ৯ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে সেনাবাহিনীর আওতাধীন বিভিন্ন বাহিনী মিলে যৌথ অভিযান হিসেবে সরকারের আদেশে কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করছে। তাদেরকে উৎসাহ ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য এ সফরে এসেছি।

 

তিনি আরও বলেন, থানচি বলি পাড়ায় একটি নতুন বেইস ক্যাম্প করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অপারেশন এবং সীমান্তের ওপারে যাতে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বিজিবির সকল সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

এরআগে সকালে পরিদর্শনের সময় বিজিবি মহাপরিচালক সকলকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। অতঃপর বিজিবি মহাপরিচালক বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ স্পটহাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন। পরে সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

 

এসময় বান্দরবান বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সোহেল আহমেদ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এবং বান্দরবান ব্রিগেড কমান্ডার মেহেদি হাসান, বিজিবি-৯ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হকসহ বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি।

সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।