অনেকে সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের জন্য ছুটে আসা প্রিয়জনরা হাসি মুখে ফিরছেন। তবে লঞ্চের যাত্রীদের বড় অংশই তীরে উঠতে সক্ষম হননি।
![jagonews24](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/pakistan-1-20200629135817.jpg)
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত যে ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তাদের লাশ হস্তান্তর বা পরিচয় প্রকাশ করেননি উদ্ধারকারীরা। ফলে এখনও অনেকেই বুঝতে পারছেন না, তাদের স্বজন উদ্ধার হয়েছে কি-না। তবে কেউ কেউ ইতোমধ্যে লাশ শনাক্ত করেছেন। তারা প্রিয়জনের লাশ গ্রহণের অপেক্ষায়।
ইতোমধ্যে ভাগিনার লাশ শনাক্ত করেছেন মুন্সীগঞ্জের শাকিল। কান্নারত অবস্থায় তিনি বলেন, ‘আমার ভাগিনা নিয়মিত মুন্সীগঞ্জ থেকে ইসলামপুরে আসতেন। আজকের লঞ্চ দুর্ঘটনায় সে মারা গেছে। আমরা তার লাশ শনাক্ত করেছি।’
ভগ্নিপতির লাশের জন্য পাগলপ্রায় ষাটোর্ধ্ব নারায়ণগঞ্জের মো. সেলিম। তিনি বলেন, ‘তার ভগ্নিপতির নাম মনির হোসেন। বয়স ৫০ বছরের মতো হবে। লঞ্চে করে তিনি ঢাকায় আসছিলেন। লঞ্চ ডুবির পর থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছি না। সকাল থেকে তার ফোন বন্ধ।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী।
![jagonews24](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/3-20200629135900.jpg)
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় কমপক্ষে ৫০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
লঞ্চটি থেকে কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন। পরে নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুইতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।
এদিকে বুড়িগঙ্গায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া লঞ্চ মর্নিং বার্ড উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।