অমৃত রায়,জবি প্রতিনিধি:: গ্রীষ্মের রুক্ষতা আর উত্তাপে গমগমে পরিবেশের মাঝেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরূপ সৌন্দর্য প্রদান করেছে এর কৃষ্ণচূড়ায় শোভিত বিস্তর প্রাঙ্গণ ।যেন ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের প্রকৃতির অপরূপ রূপে রাঙিয়ে দিতেই এই আয়োজন ।বৃক্ষ রাজির মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য আকর্ষণ এই কৃষ্ণচূড়া গাছ।
কৃষ্ণচূড়া জন্মানোর জন্য উষ্ণ বাতাস উষ্ণ আবহাওয়া দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে। বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে এটি জন্মে থাকে। ভারতবর্ষে সাধারণত এপ্রিল-জুন সময়কালে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটার সময় বিভিন্ন। কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল কমলা হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়া এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়া ও ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত।
কৃষ্ণচূড়া গাছের আরেক নাম আছে গুলমোহর। যদিও তা কম লোকই জানেন কিন্তু কৃষ্ণচূড়াকে চেনেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যায় না কৃষ্ণচূড়াকে সাধারণত আমরা লাল রঙের দেখতে অভ্যস্ত ।
ঝড়ো হাওয়ায় কিংবা এক পশলা বৃষ্টির পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যের সীমানা যেমন অসীম হয়ে যায় ঠিক তেমনি কৃষ্ণচূড়ার শোভা এই পরিবেশকে করে আরো বিমোহিত।
লীলাভূমিতে যেন কৃষ্ণচূড়া ফুটিয়ে তোলে রক্তিম আভা। বিজ্ঞান অনুষদের সামনে মাঠ প্রাঙ্গনে যেন কৃষ্ণচূড়া বিছিয়ে রাখে তার বিস্তর শোভিত প্রান্তর। লালচে কমলা ফুলে ফুলে যেন শোভিত হয় রাস্তা আর মাঠ। ড্রোন ভিউ কিংবা নতুন ভবনের ছাদ থেকে পরিদর্শন করলে সদরঘাটের প্রাণকেন্দ্র ভিক্টোরিয়া পার্ক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো যেন এর পরিবেশকে করেছে রম্য এবং প্রকৃতির অপরূপ রূপে শোভিত ।
কৃষ্ণচূড়ার লালচে কমলা রঙ যেন ধারণ কের সূর্যের রক্তিম আভা কে, যেন ধরে আছে কত জানা অজানা গল্পের ইতিহাস, ধারণ করে আছে যুদ্ধগামী সন্তানের সেই চেতনাকে, ধারণ করে আছে সেই নানা আন্দোলনের স্মৃতিগুলোকে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভাবর্ধক এই কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলো যেন টিকে থাকে সময়ের প্রবাহমানতায় আর ধারণ করে রাখে পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ও প্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বর্তমান ও প্রাক্তন দের স্মৃতিগুলোকে।