কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে যায় ৮৩ পরিবারের। ফলে গত ২০দিন ধরে খোলা আকাশে নিচেই দিনযাপন করে আসছে তারা। এসব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ৮৩ পরিবারকেই শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। একই সঙ্গে তাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন তিনি।
খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো ৮৩ পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসক
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে গত দুই মাসে যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামটির পঁচানব্বইভাগ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সর্বশেষ ৪-৫ ডিসেম্বর ভাঙনে অনেক ঘর-বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এখন সামান্য অবশিষ্ট জায়গায় ঘর-বাড়ি সরিয়ে খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। বিষয়টি নজরে এলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেদুল ইসলাম, সদর এসিল্যান্ড ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান। সেখানে দুর্গতদের খোঁজ-খবর নেন। তাদের শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দেন।
এ সময় জেলা প্রশাসককে ওই গ্রামের হাসেম, কামরুল ও সৈয়দ জানান, বর্তমানে আমাদের নিজস্ব কোনো জায়গা জমি নাই। সব ব্রহ্মপুত্রের পেটে চলে গেছে। এখন পাশেই ৪০০ বিঘা সরকারি খাসজমি আছে। আমরা সেখানে বাড়ি নিয়ে গেলে প্রভাবশালীরা ঘরবাড়ি নদীতে ভাসিয়ে দেয়। তারা আমাদের আশ্রয় না দেওয়ায় এখানে আমরা প্রায় ২০দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো ৮৩ পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসক
ওই গ্রামের শরিফুল মাস্টার বলেন, যাত্রাপুর মেইনল্যান্ড এলাকার চারটি প্রভাবশালী পরিবার ওই ৪০০ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছে। আমাদের জন্য সামান্য একটু জায়গাও ছেড়ে দিচ্ছে না।
এসব শোনার পর জেলা প্রশাসক ওই খাস জমিতে তাদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, সরেজমিনে তাদের সার্বিক অবস্থাটা দেখলাম। আপাতত তাদের কিছু শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র দেওয়া হয়েছে। নদী ভাঙনে এরা চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে। পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি খাস চর আছে সেখানে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করা হবে।