কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাখইল গ্রামে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষে দুই জন নিহতের ঘটনায় একশ জনকে আসামী করে মামলা করেছে পুলিশ। দুই গ্রুপের দুই নেতাকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কেরামত আলীসহ ১৩জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার একদিন পর শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় উপ-পরিদর্শক শ্রী কমলেষ কুমার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, সংঘর্ষের পর থেকে পুরো বাখইল গ্রাম এখন পুরুষশুন্য। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে তল্লাশী চালাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
কুষ্টিয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ নুর-ই আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত দুই জন নিহতের ঘটনায় ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কেরামত আলীসহ ১৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। তবে এখনও উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা থাকায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাখইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা কেরামত আলী এবং ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে বাধে। এতে বিল্লাল হোসেন এবং এনামুল হক নামের দুইজন নিহত হয়। নিহত দুই জন দু’পক্ষের সমর্থক ছিল। এই ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়।