কুমিল্লায় ভবনে বিস্ফোরণ রহস্যের সমাধান হয়নি

:
: ৬ years ago

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে একটি আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণে রিয়াজুল ইসলাম নামের এক কলেজছাত্র আহত হওয়ার দুই দিনেও রহস্য উদঘাটন হয়নি। এই কলেজ ছাত্র পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন।

গত দুই দিন ধরে ওই ভবন ঘিরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে র‌্যাব, পুলিশ, পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআই ও গোয়েন্দারা। স্থানীয় হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভিড় করছে ঘটনাস্থলে।

শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। বিস্ফোরণের আলামত পরীক্ষা ও তদন্ত শেষে ঘটনার বিষয়টি জানা যাবে।’

বুধবার মধ্য রাতে জেলার বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার সংলগ্ন ঘোষনগর এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। চার তলা বাসার নিচ তলার একটি কক্ষে থাকতেন কুমিল্লা সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র রিয়াজুলও তার খালাতো ভাই সোহাগ। সেখানেই হয় বিস্ফোরণ।

মধ্য রাতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে কক্ষের গ্লাসের জানালা ও স্টিলের দরজা ভেঙে যায়। এ সময় পুরো ভবন কেঁপে উঠে। কক্ষে  থাকা কাপড়ে আগুন লেগে যায়। এ সময় বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটে ও স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং আগুন নিভিয়ে রুমে থাকা রিয়াজুল ও সোহাগকে উদ্ধার করে। বিস্ফোরণে রিয়াজুলের দুই হাত ও মুখের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়।

শক্রবার সন্ধ্যায় বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে রিয়াজুলকে আসামি করে আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা করেন। আর পুলিশ রিয়াজুল ছাড়াও তার নানা আবদুল জলিল, মামা আলমগীর, ফুফাতো ভাই রায়হান ও খালাত ভাই সোহাগকে আটক করেছে।

রিয়াজুল কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উলুকনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশের জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিয়াজুলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছেন। তবে তিনি সুস্থ হলে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রাথমিক তদন্তে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের বিষয়ে আহত রিয়াজুল নিশ্চিত কোনো তথ্য না দিলেও তার (রিয়াজুল) সাথে জঙ্গি সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি সামনে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।