কীভাবে ইসরাইলের প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রদূত হলেন খালেদি?

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল প্রথমবারের মত নিয়োগ দিয়েছে মুসলিম রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া ওই মুসলিম ব্যক্তির নাম ইসমাইল খালেদি।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইসরাইল নিজেদের বর্ণবাদী অপবাদ ঘোচানোর জন্য প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক আরব বেদুইনকে নিয়োগ দিয়েছে। সম্প্রতি তাকে আফ্রিকার দেশ এরিত্রিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ইসরাইল।

প্রচণ্ড মেধাবী এই মুসলিম রাষ্ট্রদূত উঠে এসেছেন মেষপালক গোত্র থেকে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।

সম্প্রতি ইসরাইল ৩ নারীসহ যে ১১ জন কূটনীতিককে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন ইসমাইল খালেদি।

কিন্তু এ পর্যন্ত আসতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে। ইসরাইলে আরব বেদুইনদের বৈষম্যের বিষয়টি ফলাও করে বিশ্ববাসীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন ইসমাইল খালেদি।

ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির আস্থাভাজন এ আরব বেদুইন ২০০৪ সাল থেকে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো কনসোলেট এবং যুক্তরাজ্যের ইসরাইলি দূতাবাসেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন ইসমাইল খালেদি।

ইসমাইল খালেদি আরব বেদুইনদের অধিকার আন্দোলনে বরাবরই সরব ছিলেন। ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোস্টে তিনি বলেন, আরব বেদুইনদের তাদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে ইসরাইলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়া উচিৎ।

ইসমাইল খালেদি অত্যন্ত সৎ সাহসী এবং প্রতিবাদী একজন মানুষ। একজন কূটনীতিক হয়েও তার দেশের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে পিছ পা হননি ইসমাইল খালেদি।

ইসরাইলের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং তেলআবিব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন খালেদি।

গত সপ্তাহে খালেদির ‘অ্যা শেফার্ডস জার্নি: দ্যা স্টরি অফ ইসরাইলস ফার্স্ট বেদুইন ডিপ্লমেট’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। সেই বইয়ে বর্ণনা করা হয়েছে একজন মেষপালক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক হয়ে উঠার কথা।

তার ওই আত্মজীবনীতে ইসরাইলের বর্ণবৈষম্যের কথাও তুলে ধরেছেন। জেরুজালেমের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশনে একবার তাকে এক নিরাপত্তা কর্মী কালো বলে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন- এ কথাও তিনি লিখেছেন বইটিতে।