মহামারি করোনার থাবা লেগেছে হাবিবার পরিবারে। তিন ভাই-বোন আর মা-বাবা নিয়ে পাঁচ জনের পরিবার তাদের। করোনায় ঘরবন্ধি হয়ে পড়েছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম কাঠমিস্ত্রী বাবা হাতেম মিয়া। এরই মধ্যে ধরা পড়েছে মা লিপির ব্রেস্ট ক্যান্সার।
এ নিয়ে দিশেহারা ১৯ বছর বয়সী হাবিবা। তিনি কুমিল্লা কমার্স কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরিবারের বড় সন্তান হওয়ায় ছোট ভাই-বোনের দুবেলা খাবার আর মায়ের চিকিৎসার অর্থ যোগাতে তিনি ঘুরছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের কিডনি বিক্রি করে করাবেন মায়ের চিকিৎসা। সোমবার (১২ জুলাই) এমনটিই জানালেন হাবিবা।
হাবিবার বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বারপাড়ায়। তবে সেখানে তাদের মাথা গোজার জায়গা না থাকায় কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল সংলগ্ন জিলানী মাস্টার বাড়িতে ৩ হাজার টাকায় ভাড়া থাকেন তারা।
হাবিবা বললেন, ‘গত দুই মাস আগে মায়ের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য হাতে কোনো টাকা নেই। করোনায় বাবাও ঘরবন্ধি হয়ে পড়েছেন। বাড়িভাড়া জমেছে চার মাসের। বাড়িওয়ালা চাপ দিচ্ছে ভাড়ার জন্য, নয়তো বাসা ছেড়ে দিতে। মায়ের ওষুধ কেনার টাকা নেই, নেই দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা। লকডাউনে সব ইনকামের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। নিরুপায় হয়ে আমি নিজের একটি কিডনি বিক্রি করতে চাই। কিশোরগঞ্জের এক লোকের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি ঈদের পরে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন।’
কেন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানতে চাইললে তিনি বলেন, ‘একদিকে চিকিৎসার অভাবে মায়ের মৃত্যু হচ্ছে, অন্যদিকে ছোট ভাই-বোনের অনাহারে থাকা সহ্য করতে পারছি না। তাই কিডনি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলাম।’
মায়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন হাবিবা। সহযোগিতা পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর : ০১৭৮৭২৫৯৩১৫