জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে জেল সুপারের ব্যবহৃত কার্যালয়ের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে।
ডিআইজি (প্রিজন) তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়া কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পাবেন। সেখানে তিনি তিনটি পত্রিকা (ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ ও অবজারভার) ও টিভি পাবেন। তবে টিভিতে তিনি শুধু বিটিভি দেখার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া তার চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক থাকবেন। খালেদা জিয়ার খাবারও পরীক্ষা করবেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের দেখভালের জন্য একজন ডেপুটি জেলার থাকবেন। তাকে একটি পুরনো ফ্রিজ দেওয়া হয়েছে ও পাশের রুমে গ্যাসের চুলায় রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্য ২৫ জন কারারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এসব কারারক্ষী জেলের ভেতরেই থাকবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তারেক রহমানসহ মামলার অন্য আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দুপুর ২টা ২৯ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ১০৯ ধারার অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক।
রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়া ছাড়াও অপর দুই আসামি সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর কড়া পুলিশি পাহারায় খালেদা জিয়াকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে নাজিম উদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।