কারখানা বন্ধে মালিকদের প্রতি রুবানা হকের অনুরোধ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

‘সার্বিক পরিস্থিতি’ বিবেচনা করে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।

শনিবার (৪ এপ্রিল) রাতে এক অডিও বার্তায় তিনি এ অনুরোধ জানান। খানিক আগেই রুবানা হক এক বার্তায় বলেছিলেন, কাজের অর্ডার থাকলে পোশাক কারখানা খোলা রাখতে পারবেন মালিকরা। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এ ঘোষণার সঙ্গে পোশাক কারখানাগুলোও ছুটি দেয়া হয়। কিন্তু সরকার সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করলেও এবার কারখানা বন্ধের সময়সীমা বাড়ানোর কোনো ঘোষণা আসেনি। তাই ৫ এপ্রিল (রোববার) থেকে কারখানাগুলো খুলবে, এমন নির্দেশনায় ঢাকা অভিমুখে স্রোত নামে মানুষের।

সংক্রমণ রোধে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায় কাজ করলেও এভাবে শ্রমিকদের ঢাকামুখী স্রোত সমালোচনার সৃষ্টি করে।

এর মধ্যে দেয়া বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি ‘সার্বিক পরিস্থিতি’ বিবেচনা করে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

তার আগের বার্তায় তিনি বলেন, করোনা মহামারির এ সময়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে থেকে একটি নির্দেশনা দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যেসব রফতানিমুখী শিল্পে আন্তর্জাতিক ক্রয়াদেশ আছে এবং যারা করোনার সরঞ্জামাদি, মাস্ক চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসহ (পিপিই) করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী তৈরি করছে এমন কারখানাগুলো তাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে খোলা রাখতে পরবে। তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব কিভাবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দেব। দ্বিতীয় হচ্ছে মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোনো অনীহা থাকা যাবে না। মার্চ মাসের বেতন শ্রমিকরা পাবেনই এটা নিশ্চিত করতে চাই।

তিনি বলেন, এ সময়ে শ্রমিক কোনো কারণে যদি কারখানায় উপস্থিত না থাকেন তাহলে মানবিক বিবেচনায় তার চাকরিটি হারাবেন না। এটি আমাদের বিজিএমইএ’র প্রত্যেকটি সদস্যের কাছে অনুরোধ করবো। আমি আশা করি পোশাক মালিকরা এটি শুনবেন।

এর আগে গত ২৬ মার্চ এক বার্তায় বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছিলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ সময় জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোও বন্ধ রাখতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বিজিএমইএ।