উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার ৪৩তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সোমবার। দেশটির পার্লামেন্ট হাউজ অব কমন্সের ৩৩৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৬টি দল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবারের নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে পারেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জলবায়ু ও মাদকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে অভিবাসন নীতিতে উদার হিসেবে পরিচিত জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা দেশে অনেকটাই কমেছে। এবারের নির্বাচনে তাকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন কনজারভেটিভ দলের নেতা স্টিফেন হারপার।
কানাডার জনসংখ্যা প্রায় চার কোটি। মোট ১০টি প্রদেশ নিয়ে আয়তনের দিক থেকে কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বহুধা সংস্কৃতির আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত কানাডায় সরকার গঠন করতে হলে ৩৩৮ আসন বিশিষ্ট পার্লামেন্ট হাউজ অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ১৭২ আসন প্রয়োজন।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে লিবারেল, কনজারভেটিভ, নিউ ডেমোক্রেটিক, ব্লক কুবেকুয়া, গ্রিন ও পিপলস পার্টি অব কানাডা। প্রাথমিক জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টিকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টি।
উদার অভিবাসননীতি, বিভিন্ন রাজ্যে গাঁজার বৈধতা ও জলবায়ু প্রশ্নে কার্যকর কিছু না করতে পারায় কমছে জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ট্রুডোর মন্ত্রিসভার এক সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ট্রুডো সরকার।
কনজারভেটিভ পার্টি এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতাকে তুলে ধরেন দলটির নেতা স্টিফেন হারপার। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে আয়োজিত টেলিভিশন বিতর্কে চোখ ছিল সবার। প্রবাসী বাঙালিরাও এসব বিতর্কে যোগ দেন।
নির্বাচক বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনীতি, বাণিজ্য, অভিবাসন, জলবায়ু ইস্যু, গ্যাস পাইপলাইন সচল ও আদিবাসী ইস্যুতে যারাই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসছেন তারাই। কালকের নির্বাচনে কানাডার মানুষের অবস্থান জানা যাবে।