অস্ত্র ও মাদক আইনে করা দুই মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুর ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ওয়ারী থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে করা দুই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল অস্ত্র মামলায় ৫ দিন ও মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান ও শুদ্ধি অভিযানের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে টিকাটুলির নিজ কার্যালয় থেকে কাউন্সিলর মঞ্জুকে গ্রেফতার করার পর র্যাব-৩ এর পক্ষ থেকে রাতে ওয়ারী থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করা হয়।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, অভিযানকালে তার কার্যালয় থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ কারণে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করা হয়। ওয়ারী থানার মামলা নং ২৬ ও ২৭।
এর আগে গ্রেফতারের পর তার কার্যালয়ে র্যাব-৩ সিও সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জু চাঁদাবাজির মাধ্যমে আয়কৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ আমেরিকায় বসবাসরত পরিবারের কাছে পাচার করেছেন।
গত বুধবার রাতে ওয়ারী থানায় দায়েরকৃত এক চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কাউন্সিলর মঞ্জু। তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলাই তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-দখলবাজি ও সন্ত্রাসবাদীর অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব-৩ সিও বলেন, অভিযোগ রয়েছে- কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন এবং সেসব অর্থ আমেরিকায় বসবাসরত পরিবারের কাছে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন। কী পরিমাণ অর্থ তিনি পাচার করেছেন এটি আইনিভাবে তদন্তের বিষয়। কাউন্সিলর মঞ্জু নিজেও একজন মাদকসেবী ছিলেন।