কুমিল্লা মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করেছে তাঁদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত হচ্ছে। ব্যাপকভাবেই তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্যও আমরা পাচ্ছি এবং অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাবে, তাঁদেরকে আমরা খুঁজে বের করবোই।
তা আমরা করতে পারব। এখন প্রযুক্তির যুগ। বের করা যাবে। সে যেই হোক না কেন, যে ধর্মের হোক না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিছু মানুষের ভেতরে এই দুষ্টু বুদ্ধিটা আছে। যখন একটা জিনিস খুব সুন্দরভাবে চলছে। সেটাকে নষ্ট করা। আর বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় এ যাত্রাটাকে ব্যাহত করা। সেই সঙ্গে সঙ্গে দেশের ভেতরে একটা সমস্যা সৃষ্টি করা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যার যার ধর্ম, সে সে পালন করবে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এটা কিন্তু বাংলাদেশে সব সময় ছিল এবং আছে।
প্রত্যেকটা উৎসবে সবাই এক সঙ্গে শামিল হয়ে উপভোগ করে। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু কিছু দুষ্টু চক্র, কিছু ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের ভেতরে এ চেতনাটা নষ্ট করতে চায়। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
মহানগর সর্বজনীন পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্নাত্মানন্দ মহারাজ, মহানগর সর্বজনীন পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মন্ডল।