কাঁথা সেলাই করে পড়াশোনা, মিলল পরিশ্রমের ফল

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

দারিদ্র্য থামাতে পারেনি সুরাইয়াকে। কঠোর পরিশ্রমে সাফল্য মেলে প্রমাণ করেছেন তিনি। বাড়িতে পড়ার জায়গা না থাকায় চাচার প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারে পড়ালেখা করতেন সুরাইয়া। কাঁথা সেলাই এবং প্রাইভেট পড়িয়ে সংগ্রহ করেছেন পড়ালেখার খরচ। পাশাপাশি সংসারেও সহযোগিতা করেছেন। তবুও দমে যাননি তিনি। অবশেষে এই পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন তিনি। এসএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সুরাইয়া আক্তার।

সুরাইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পৌর শহরের সুহাতা এলাকার জীবন মিয়ার মেয়ে। চলতি বছর উপজেলার ভোলাচং হাই স্কুল থেকে মানবিক শাখায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।

 

সুরাইয়ার বাবা পেশায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক। বাবা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। মা পারভীন আক্তার কাঁথা সেলাই করে সংসার চালান। সুরাইয়াও মার সঙ্গে কাঁথা সেলাই করেন।

সুরাইয়ার ছোট বোন উম্মে হানি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সেও মেধাবী। তারা দুজনই পড়াশোনায় আগ্রহী। সুরাইয়া সব কাজ শেষ করে গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পড়ালেখা করেছেন। তার লক্ষ্য শিক্ষক হওয়া।

সুরাইয়ার চাচা স্বপন মিয়া রাইজিংবিডিকে জানান, সুরাইয়াকে কখনো পড়ালেখার জন্য় চাপ দিতে হয়নি। তাকে তার মতো করে পড়ার সুযোগ দিয়েছে। মেয়েটার পড়ার আগ্রহ অনেক বেশি। অথচ সময় পেত না। সংসার সামলাতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।

 

সুরাইয়া চাচা স্বপন মিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। বলেন, পড়ালেখার জন্য  চাচা সহযোগিতা করেছে। স্কুলের শিক্ষকরাও আমার পড়ালেখার খোঁজখবর নিয়েছে। আমি শিক্ষক হতে চাই। স্বপন চাচার মতো ভালো মানুষ হতে চাই।