অম্বল, নাম শুনে ভয়ের কিছু নাই। খুব সাধারন এবং সহজ রান্না। কাঁচা আম দিয়ে এই অম্বল রান্না করা হয়। এত সহজ রান্না যে, আমি নিশ্চিত এই রেসিপি দেখার পর অনেকেই বলবেন, আজই এই রান্না হবে। প্রথমেই বলে নেই এই অম্বল দিয়ে আপনি যে কোন ভাঁজা ভুজি খেতে পারবেন। সিঙ্গারা, সামুচা, পুরি সহ সব কিছুই খাওয়া যেতে পারে। এমন কি সামান্য নিয়ে গরম ভাত বা পোলাও খাওয়া যেতে পারে। খাবার টেবিলে থাকলেই হল! তবে একবার বানিয়ে ফ্রীজে রেখে দিয়ে খাবার সময় বের করে নিলেই হল।
কাঁচা আম। নিজের লাগানো গাছের আম হলে বা নিজ বাড়ী থেকে আনা আম হলে আলাদা একটা আনন্দ আছে।
চলুন দেখে ফেলি, অম্বল।
উপকরণঃ (পরিমান টা আপনি নিজেই ঠিক করে নিতে পারেন, ছবি দেখেও বুঝে যেতে পারেন)
– কাঁচা আম, ফালি করে কাটা (চামড়া বাদ দিয়ে)
– লবন
– চিনি
– মরিচ গুড়া
– হলুদ গুড়া
– রসুন ছেঁচা বা কালি জিরার
– সাদা সরিষা
– তেল
– পানি
প্রনালীঃ
পরিমান মত পানি (পানি বেশি দিতে হবে, কারন আম সিদ্ধ হয়ে গলিয়ে যেতে হবে) নিয়ে চুলার উপরে রাখুন এবং একে একে লবন চিনি সহ উল্লেখিত মশলা দিয়ে চলুন।
ভাল করে মিশিয়ে নিন। আগুনের আঁচ বাড়তি রাখতে হবে। কাঁচা আম গলে নরম হয়ে মিশে যেতে অনেক সময় লাগতে পারে। (ঢাকনা দিয়ে দিতে পারেন)
আগেই বলে নেই, আগুন বেশি দিলে চুলার ধার ছেড়ে কোথায়ও না যাওয়াই ভাল, আর আগুন কম হলে (ডিম আঁচ) আপনি ঘুরে আসতে পারেন।
অন্য একটা কড়াই বা ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে রসুন ছেঁচা এবং সরিষা ভেঁজে নিন। যে কোন ভাজাভাজিতে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। (এটা বাগাড়ই, যা আমরা ডাল সহ নানা তরকারীতে দেই)
আমি সাদা ভাতের সাথে পাতলা ডালের সাথে মিশিয়ে বা এমনিতেই ভাতের সাথে মিশিয়ে খেয়েছি, অসাধারণ। (যে কোন ভাজির, ভুজিয়ার সাথে সস হিসাবে অসাধারণ লাগবে)
এবার আপনিই বলুন, সহজ রান্না নয় কি! কি বলেন, রান্না করে খাবেন কি না!
কৃতজ্ঞতাঃ মানসুরা হোসেন