কসমেটিকস পণ্য নিয়ন্ত্রণে নী‌তিমালা হচ্ছে

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

রাজধানীসহ সারাদেশের বাজারে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে কসমেটিকস বিক্রি হলেও এ জাতীয় পণ্যগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো নীতিমালা কিংবা গাইডলাইন নেই। এসব পণ্যের গুণগত মান যাচাই অত্যন্ত জরুরি হলেও সরকারিভাবে তা করা হয় না। এ সুযোগে বাজার ছেয়ে গেছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের কসমেটিকস পণ্যে।

বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে এসব নিম্নমানের কসমেটিকস ক্রেতাদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। ভেজালবিরোধী অভিযান চলাকালে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের কসমেটিকস জব্দ করা হলেও প্রয়োজনীয় নীতিমালা বা গাইডলাইন না থাকায় আইনের ফাঁক পেরিয়ে বছরের পর বছর ধরে এই অপব্যবসা চলে আসছে।

অবশেষে দেশে কসমেটিকস পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতিমালা ও গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক কসমেটিকস রেগুলেটরি গাইডলাইনের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের জন্য মঙ্গলবার (৩০ জুন) আট সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওষুধ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে সদস্যসচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. সোহরাব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ডার্মাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বারডেম হাসপাতালের কসমেটিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যুগ্মসচিব (আইন ও বিচার বিভাগ)।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (ওষুধ প্রশাসন-১ শাখা) সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়।