কলমাকান্দায় ঢাবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও তার মাকে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে প্রতিবেশীর ক্ষেতের ধান খেয়ে ফেলার অভিযোগে গরুকে পেটানো হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই গ্রামের মৃত আবু সামার মেয়ে ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়া আফরোজ কাকলী (২২) ও তার মা হোসনে আরা, ছোট বোন নাসরিন আক্তারকে মারধর ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

আহত ঢাবি শিক্ষার্থী কেয়া আফরোজ কাকলী বলেন, বাড়ির পাশে ক্ষেতে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে প্রতিবেশী রাজু মিয়ার ছেলে আপেল মিয়া ও লালচান মিয়া অশ্লীল ভাষায় বকাবকি করে এবং আমার ওপর হামলা করে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে। সঙ্গে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে, এতে আমার মাথা ফেটে যায়। হামলার সময় আমাকে উদ্ধার করতে গেলে মা-ছোট বোনকেও মারধর ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

এ ঘটনায় সন্ধ্যায় লালচাঁনকে আটক করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কলামাকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে পোগলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, শুনেছি গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া-বিবাদ হয়েছে। মেয়েদের ওপর হামলা করা উচিত হয়নি।

কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল মামুন জানান, আহত শিক্ষার্থীর মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।