কর্মের আলোয় আলোকিত বরিশালের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

সোহেল আহমেদঃ বরিশালের জনপ্রিয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে বদলি করা হয়েছে। জনস্বার্থের কথা উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সরকার ঘোষিত যে কোনো বিধি-নিশেধের উপরে জনকল্যাণ সম্পৃক্ত ভ্রাম্মমান আদালত পরিচালনা করে তুমুল আলোচনায় উঠে আসা এই সরকারি কর্মকর্তার গতিবৃদ্ধির সমাপ্তি হল। বদলি সম্পর্কে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন এটি সরকারি বিধি মালার নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। দ্বায়িত্ব পালনে কর্মস্থল যেখানেই হোক আস্থার সাথে কাজ করে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

সুত্রমতে, বীর চট্টলার কৃতিসন্তান মোজাম্মেল হক চৌধুরী ২০১৭ সালের ২৪ শে আগস্ট বরিশাল-জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। কর্মস্থলে যুক্ত হয়েই জেলা প্রশাসনের কর্মকান্ডে নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যহত রাখেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন সময়ে নানা দিকনির্দেশনা পাওয়া মাত্র তা বাস্তবায়নে মাঠে নেমে পড়েন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তার নেতৃত্বগুনে পরিচালিত হওয়া ভ্রাম্মমান আদালত পরিচালনা করে তিনি ব্যপকভাবে আলোচনায় চলে আসেন। সম্প্রতি সরকার ঘোষিত অবৈধ কচিং বানিজ্য বন্ধ,খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ, ডায়গষ্টিক ল্যাবের ভুয়া সাক্ষরযুক্ত ডাক্তারের অপচিকিৎসা রোধ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবহার প্রতিরোধ, অবৈধ পলিথিনের বিরাট অাস্তানা বন্ধ, স্কুল কলেজের সম্মুখে বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবেশন বন্ধ সহ পরিবেশের ক্ষতিকর জনিত অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান একটার পর একটা অভিযান চালিয়ে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারের সফল নায়ক মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

বরিশালের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে দারুণ সমন্বয় সাধন করে জনকল্যাণ মুলক এসব ভ্রাম্মমান আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করেন সর্বমহলের নিকট প্রশংসিত হন তিনি। বরিশাল-জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়ার রহমানের সাথে এক যোগে কর্মজজ্ঞে ঝাপিয়ে পড়েন। বরিশালবাসীর ভাগ্যন্নোয়নে নিজ তারুন্যের প্রতিভাকে বিকশিত করতে ছিলেন মুখিয়ে। জেলা প্রশাসন কতৃক নির্শেদমত যখন যেখানে প্রয়োজন কাজ করতে পিছু হঠেননি। কি সকাল কি বিকেল এমনকি গভীর রাতের হাঁড় কাপা শীতেও জেলা প্রশাসকের সাথে সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় মোজাম্মেল হক চৌধুরী। দ্বায়িত্ব পালনে আপন মনে ছুটে চলা হাস্যজ্জল এই সরকারি আমলার বদলির সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোজাম্মেল হক চৌধুরীর ম্যাজিস্ট্রেসি নি:সন্দেহে প্রশসংসার দাবীদার। আরও কিছু দিন এরকম কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিতে পারলে বরিশালবাসীর উপকৃত হত ।

বরিশালে যোগদানের আগে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় চট্টগ্রামের চাকরি করে কর্মদক্ষতার ব্যপক সুনাম কুড়ান। শুধু বিদ্যুৎ উন্নয়নই নয় কাজ করেছেন কানাডিয়ান ভিত্তিক প্রতিষ্টান ম্যাক্স গ্রুপেও। ওই চাকরির পাশাপাশি ৩৫ তম বিসিএস পরীক্ষার যুদ্ধে নেমে সেখানেও তিনি সফল। প্রকৌশলী থেকে হয়ে যান বিসিএস ক্যাডার।

সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে তার যোগদানের কথা রয়েছে বলে জানাগেছে। তাই এ সপ্তাহে তার শেষ কর্মদিবস। বরিশালবাসীর প্রতি মুল্যায়ণ করতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন, এখানকার সর্বস্তরের মানুষ অত্যন্ত আন্তরিক। সরকারি কাজের প্রতি তারা যেমন সচতেন তেমনই প্রশাসনকেও সহোযোগীতা করেন। বরিশালবাসীর ভালোবাসায় প্রশাসনের কাজের গতিবৃদ্ধি পায় মন্তব্য করে সর্বমহলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কর্মের আলোয় আলোকিত ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী।