প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ ধান কাটার লোক পাওয়া যায় না। যদি এত বেশি বেকার থাকতো; তাহলে ধান কাটার লোকের অভাব হতো না। কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে বলেই দেশে এখন ধান কাটার লোকের অভাব হচ্ছে।’ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক পত্রিকায় দেখেছি ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তারা অনেক বেশি টাকা চায়। শ্রমের যে মূল্য বেড়ে গেছে, কারণ তাদের ডিমান্ড বেড়ে গেছে। আজকে বেকার লোকের অভাব আছে বলেই তো মূল্য বেড়েছে। সেটাও একটু বিবেচনা করে দেখেন।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘একজন মানুষ একদিন ধান কাটলে ৪০০-৫০০ টাকা পায়। আবার তিন বেলা খাবার, এর মধ্যে দুই বেলা খাবে আর এক বেলা আবার বাড়ি নিয়ে যাবে। এরপরও কৃষক ধান কাটার জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না। আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে বলে এমনটি হচ্ছে।’
তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কর্মসংস্থানের কথা বলি, আর সবার ধারনা হয়ে যায় চাকরি দেওয়া। ১৬ কোটি মানুষকে কি চাকরি দেওয়া যায়? পৃথিবীর কোনো দেশ দেয়? আর কোনো মানুষ কি একটা চাকরি নিয়ে বসে থাকে সারা জীবন? কর্মসংস্থান হচ্ছে, মানুষ যেন কাজ করে খেতে পারে, সেই সুযোগটা সৃষ্টি করা।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতায় ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়।
বক্তৃতায় বলা হয়, বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া যুবকদের মধ্যে ব্যবসা উদ্যোগ সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা চলতি অর্থ বছরের বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরো বলা হয়, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আত্ম কর্মসংস্থানের জন্য সারা দেশে ১১১টি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উপজেলা পর্যায়ে ৪৯৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।