বন্দর নগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল নিমার্ণের জন্য বোরিং কাজ শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বরে। বর্তমানে এই বোরিং মেশিনটি নির্মিত হচ্ছে চীনে। আগামী মে মাসে তা বাংলাদেশে এনে স্থাপনের কাজ শুরু হবে।
স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বৃহস্পতিবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
এম আবদুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১)-এর লিখিত প্রশেনর জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী বোরিং মেশিনটি স্থাপনে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে। তিনি বলেন, এ টানেল নিমার্ণে চীন সরকারের সাথে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম কিস্তির ১৪১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় ঠিকাদারের ক্যাম্প, আবাসন ও ব্যাচিং প্ল্যান্ট, গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে এই টানেল নির্মাণে সেদেশের সরকারের সাথে সমঝোতা চুক্তি হয়। একই বছরের ২৪ নভেম্বর প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) অনুমোদিত হয়।
এদিকে, বেগম শিরীন আখতারের (ফেনী-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আরিচা-দৌলতিয়া পয়েন্টে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। মাওয়া-জাজিরা অবস্থানে প্রথম পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, মাওয়া-জাজিরা অবস্থানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি ৫১ শতাংশ। ইতোমধ্যে সেতুর দুটি স্পান বসানো হয়েছে এবং আগামী মার্চ মাসে আরো একটি সম্প্যান বসানো হবে। অবশিষ্ট স্প্যানগুলো পর্যায়ক্রমে বসানোর মাধ্যমে যথাসময়ে এ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে আশা করা যায়। সেতুমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর প্রাথমিক উন্নয়ন প্রকল্প ছক বা পিডিপিপি পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এ সেতু নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কাছে অর্থ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তবে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া পাইনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।