ইতোমধ্যে নগরীর কর্মহীন হয়ে পড়া ২০ হাজারের অধিক অসহায়কে মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ঘরে গিয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর বিস্তাররোধে মশক নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া পানি সরবরাহ বিভাগে ৯ হাজার লিটার ক্যাপাসিটির আধুনিক নতুন একটি ভাউজার যুক্ত হওয়ায় নগরজুড়ে জীবনানুনাশক স্প্রে ছিটানোর পরিধী আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ত্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে শুরু হয়েছে অভিযান। বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়।
শুরুতেই বিসিসির স্টাফদের সুরক্ষায় বায়োমেট্টিক হাজিরা স্থগিত, নগর ভবনসহ নগরীর ১২টি পয়েন্টে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর মেয়রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে গত ৩০ মার্চ থেকে অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আওতায় গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত ২০ হাজারের অধিক পরিবারকে ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। মেয়রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। এদিকে বিসিসির পানি সরবরাহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, মেয়রের নির্দেশে গত প্রায় এক মাস ধরে করোনা রোধে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার লিটার জীবানুনাশক পানি স্প্রে করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, তাদের শাখায় ৯ হাজার ধারন ক্ষমতার নতুন একটি ভাউজার যুক্ত হওয়ায় জীবনুনাশক স্প্রে ছিটানো কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে।
প্রতিদিন নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক, বাজার ও জনসমাগম হয় এমন এলাকায় স্প্রে ছিটানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে বিসিসির পরিচ্ছনতা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম জানান, করোনা রোধে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে।
কয়েকশত কর্মী নগরী পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া মশক নিধন কার্যক্রমও চলছে জোরেশোরে। তিনি জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে মেয়রের নির্দেশে প্রতিদিন সকালে নগরীর ২ থেকে ৩টি ওয়ার্ডে ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে স্প্রে করা হচ্ছে। এবং বিকেলে ফগার মেশিনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন সড়ক ও ড্রেনে স্প্রে করা হচ্ছে।
বিসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হাজবুন জানান, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে জনগনের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধকল্পে গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় নগরীর বাজার রোড ও পিয়াজ পট্টি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে আভিযানিক এলাকায় উপস্থিত জনসাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও ব্যবসায়ীদের মূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য আহবান করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।