করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া যুবকের লাশ ফেলে পালিয়েছে স্বজনরা, দাফনের ব্যবস্থা করলো পুলিশ

:
: ৪ years ago

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া এক যুবকের লাশ স্বজনরা নিতে না আসায় ১দিন পর জানাজা এবং দাফনের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।

গত সোমবার সন্ধ্যায় মেহেন্দিগঞ্জের বেঁদে সম্প্রদায়ের ওই যুবকের (৩২) মৃত্যুর পর স্বজনরা পালিয়ে যায়। পরে বার বার খবর দেয়ার পরও কেউ লাশ নিতে না আসায় গত মঙ্গলবার আঞ্জুমান-ই হেমায়েত-ই ইসলামের সহায়তায় নগরীর রূপাতলী মুসলিম গোরস্থানে তার জানাজা এবং দাফনের ব্যবস্থা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ সময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মৃত ওই যুবক (লিটন সরদার, পিতার নাম আব্দুল সরদার) মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউয়িনের লালগঞ্জ খালের বেঁদে নৌকার বহরের বাসিন্দা ছিলেন।

মেহেন্দিগঞ্জের সাংবাদিক সঞ্জয় গুহ জানান, বেঁদে বহরের ওই যুবক করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ১৩ এপ্রিল মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখানে ৪ দিন চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১৭ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে প্রেরন করা হলে জরুরী বিভাগ থেকে তাকে করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, ওই যুবকের মৃত্যুর খবর শুনে তার স্বজনরা লাশ পেলে বরিশাল থেকে পালিয়ে যায়। বারবার খবর দেয়ার পরও তার লাশ নিতে আসেনি কোন স্বজন। ১ দিন করোনা ওয়ার্ডে লাশটি পড়ে থাকার পর পুলিশ ওই যুবকের লাশ দাফনের দায়িত্ব নেয়। গত মঙ্গলবার আঞ্জুমান-ই হেমায়েত-ই ইসলামের সহায়তায় পুলিশ নিরাপত্তা পোষাক পড়ে তার লাশ উদ্ধার করে সংক্ষিপ্ত জানাজা শেষে নগরীর রূপাতলী মুসলিম গোরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করে।

ওই যুবকের মৃত দেহ ছাড়াও গত ৪ দিন আগে নগরীর আমবাগান এলাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাসায় মারা যাওয়া এক শিশুর লাশ দাফন করে পুলিশ দাফন করে বলে জানান ওসি মো. নুরুল ইসলাম।