প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারি আবার দেখা দিলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সরকারি অর্থ খরচ করার বিষয়ে সর্বোচ্চ মিতব্যয়ী হতে হবে। আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু আমাদের নেহায়েত প্রয়োজন তার বেশি এখন কোনো পয়সা খরচ করা চলবে না।
রোববার (১১ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সাভার সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট ও সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এমন নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সাল আমাদের বাঙালির জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এ বছর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে তার যথাযথ প্রোগ্রাম করতে পারিনি। তারপরও আমরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটি পালন করেছি। যারা এই পদক পেলেন তাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। কারণ বাংলাদেশে স্বাধীন না হলে এটি সম্ভব হতো না। জাতির পিতা সবসময় আমাদের প্রেরণা দিয়েছেন। উজ্জীবিত করেছেন।’
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিরক্ষা নীতিমালা করে দিয়ে যান। আমরা এখন যদি সেই নীতিমালা দেখি, সেটা এতোই যুগোপযোগী যে এখন তা আমাদের জন্য প্রযোজ্য।
কোভিড-১৯ এর এই সংকটময় সময়ও মানুষের কল্যাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এবার পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। যেটা দেয়া খুব কঠিন ছিল। তবু আমরা দিয়েছি, তারপরও বলেছি যে, অর্থ খরচের ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে। কারণ করোনাভাইরাস যদি আবার ব্যাপক হারে দেখা দেয়, তাহলে আমাদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে আবার আমাদের সহযোগিতা করতে হবে, চিকিৎসা করতে হবে, ওষুধ কিনতে হবে, হয়তো আরও ডাক্তার-নার্স আমাদের লাগবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু আমাদের নেহায়েত প্রয়োজন তার বেশি এখন কোনো পয়সা খরচ করা চলবে না। ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখেই সে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও আমরা বাজেট ঠিক রেখেছি।’