করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সিনিয়র জেল সুপার ও একজন চিকিৎসক । মৃতরা হলেন ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. আবু জাহেদ (৫৮) ও ডা. শেফা ইসলাম তুলি (২৬)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত
ঢাকা : রাজধানীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসক প্রসূতি মা ও তার এক দিন বয়সী নবজাতকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এই চিকিৎসকের নাম ডা. শেফা ইসলাম তুলি (২৬)। তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের ১৫তম ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন। গতকাল সকালে তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে সারাদেশের চিকিৎসক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এর আগে শনিবার তার এক দিন বয়সী নবজাতক সন্তানও কোভিড-১৯ রোগে মারা যান।
শেফা ইসলামের সহপাঠী নাফিসা তাহসীন তরি গণমাধ্যমকে জানায়, ‘গত ২৪ জুলাই দুপুরে স্কয়ার হাসপাতালে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন শেফা ইসলাম তুলি। সে সময় শিশুটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। শনিবার রাত ১০টার দিকে শিশুটি মারা যায়।
আমাদের ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল দুপুর ১ টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিনিয়র জেল সুপার মো. আবু জাহেদ শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি প্রিজন জাহাঙ্গীর কবির জানান, আবু জাহেদকে গত ৭ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হলে নেগেটিভ আসে। তবে তার শ্বাসকষ্ট ক্রমেই বাড়তে থাকে। এরপর ১১ জুলাই সন্ধ্যায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আবার পরীক্ষা করা হলে তার করোনা পজিটিভ আসে। এরপর থেকে সেখানেই তিনি ভর্তি ছিলেন।
তার মৃত্যুতে কারা বিভাগের পক্ষ থেকে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা গভীর সমবেদনা ও শোক প্রকাশ করেছেন। আবু জাহেদ ১৯৯১ সালে কারা বিভাগে যোগদান করেন। পর্যায়ক্রমে যশোর ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং পাবনা, রাঙামাটি, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, বাগেরহাট, নেত্রকোনা, বগুড়া, ঝিনাইদহ, পাবনা ও সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২৪ মার্চ তিনি ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে যোগদান করেন।