দেশে একদিনে করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আরও ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৭ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৯৭৩ জন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৪টি পরীক্ষাগার থেকে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৪৯১টি। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ১৭৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮০টি। ২৪ ঘণ্টায় এই সংগৃহীত নমুনা থেকে শনাক্ত রোগী পেয়েছি ৩ হাজার ২৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন। শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ।’
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৯৭৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ১০২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে ৫৫ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু দাঁড়ালো ২ হাজার ১৫১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। মৃত্যু বিশ্লেষণে পুরুষ ৪৬ জন এবং নারী ৯ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন পুরুষ ১ হাজার ৭০৩ জন এবং নারী ৪৪৮ জন।’
বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি বলেন, ‘১১ থেকে ২০ বছর ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ১৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ২১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৬ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছে।’
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘এ পর্যন্ত যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন ৯৪০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩২৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭১ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ১০ বছরের নিচে ১৩ জন।’
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন এবং বরিশাল বিভাগে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩৯ জন, বাসায় ১৫ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছে ১ জন।’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।