করোনার প্রভাবে পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার দীর্ঘ সৈকতের বেলাভূমে নেই কোনো পর্যটকের পদচারণা। বিরাজ করছে সুনসান নিরবতা। হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীসহ ট্যুর অপারেটররা পার করছে অলস সময়। ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। আর বেকার হয়ে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। কোথাও নেই পর্যটকের কোলাহল। নেই আলোক সজ্জা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে চিরচেনা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের এখন এমন দৃশ্য বিরাজ করছে।

 

এদিকে করোনার প্রভাবে উপকূলের জেলেরাও পড়েছে বিপাকে। সমুদ্রে মাছধরা নিষিদ্ধ না থাকলেও ক্রেতা সংকটের কারণে মাছের দাম কমে গেছে। বাজারজাত করতে পারছেন না আড়তদাররা। সরকারি নির্দেশনা ছাড়াই অধিকাংশ জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছে। এর ফলে বেকার হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট শত শত শ্রমিক ও জেলে এমনটাই জানিয়েছেন কুয়াকাটা আলীপুর মৎস আড়ৎ সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কুয়াকাটায় সৈকতে পর্যটকদের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আবাসিক হোটেল মোটেলসহ সকল বিনোদন কেন্দ্রগুলো। করোনাভাইরাস থেকে সাবধান থাকার জন্য আগত পর্যটকদের স্ব স্ব বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছেন সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে।

 

একই সঙ্গে সৈকতের সকল দোকানপাট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় হোটেল-মোটেলসহ খাবার রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ রয়েছে। দুএকটি চায়ের দোকান খোলা থাকলেও ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশের ন্যায় কুয়াকাটাকে লকডাউন করা হয়েছে।

 

আবাসিক হোটেল সৈকতের কর্ণধার জিয়াউর রহমান শেখ বলেন, উপজেল প্রশাসনের নির্দেশনার পর আমাদের হোটেল বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত হোটেলের কর্মচারিদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।

 

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ট্যুরিস্ট গাইড, পর্যটন নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটররা সব থেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তিনি বলেন, ট্যুরিস্টদের উপর নির্ভরশীল নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংসার চালাবেন কিভাবে এনিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তারা।

 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পরই সকল আবাসিক হোটেল বন্ধ করে দিয়েছি।