 
                                            
                                                                                            
                                        
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পৃথক গুজব প্রতিরোধ সেল খুলছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এই সেল করোনা প্রতিরোধে যে টাক্সফোর্স গঠন করা হয়েছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াবলি নিয়ে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ে একটি গুজব প্রতিরোধ সেল আছে। তারপরও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আরও একটি সেল গঠন করতে যাচ্ছি। আজ সে বিষয়ে এাটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সেলে সকল সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিনিধি থাকবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে। এই সেল করোনা প্রতিরোধে যে টাক্সফোর্স গঠন করা হয়েছে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই সেল কাজ করা শুরু করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনসহ কয়েকটি উপনির্বাচন স্থগিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এছাড়া গতকাল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটাও স্থগিত করা যায় কিনা সেটা নিয়েও নির্বাচন কমিশন চিন্তভাবনা করেছিল। কিন্তু নির্বাচনের একদিন আগে সমস্ত প্রস্তুতি শেষে সেটি করতে পারেনি। গতকালের নির্বাচনটি প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুবই নগণ্য ছিল। এটি স্বাভাবিক ছিল আমরা সেটি ধারণা করেছিলাম। জনগণ অনেক সচেতন ও আতঙ্কিতও বটে এ কারণে গতকালকে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এছাড়া ইভিএমমে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয় আর একজনের ভোট যে অন্যজনে ভোট দিতে পারে না সেটির প্রমাণ হচ্ছে কালকে, অত্যন্ত কম সংখ্যক ভোট কাস্ট হয়েছে। যারা ভোট কেন্দ্র গেছেন তারাই কেবল ভোট দিতে পেরেছেন। সেটি আবারও ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দেখেছি নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে এবং ফলাফল ঘোষণার আগেই বিএনপির প্রার্থী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি শুরু থেকেই অভিযোগ করেছিলেন এবং গতকাল চিরাচরিত নিয়ম অনুয়ায়ী ও প্রতি নির্বাচনের সময় যেটি করেন। তারা সব সময় যেটি করে আসছে সেটির ধারাবাহিকতায় সেটা করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্লেগের পর পৃথিবীতে এতো বড় দুর্যোগ আগে দেখিনি বা আসেনি। প্লেগে কয়েক কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল। করোনায় ইতোমধ্যে তিনলাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এটি একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ। সমস্ত বিশ্বে এই দুর্যোগ ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা যে যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করছি এই দুর্যোগ নিয়ে সমস্ত দেশ জাতি ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করব। তার প্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেশের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিদের দিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন তৈরি করে বিটিভির মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। অন্যান্য টিভিতেও পাঠানো হয়েছে। সেখানেও প্রচার করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় সংবাদকর্মীদের জন্য কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে কিছু নিরাপত্তামূলক দ্রব্য দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।