করোনাকালে দেশের সর্বকনিষ্ঠ দাতা শিশু সোয়াইব

:
: ৪ years ago

এবার রসিক মেয়রের ত্রাণ তহবিলের সর্বকনিষ্ঠ দাতার তালিকায় যুক্ত হলো আরিয়াত রহমান সোয়াইব। ৭ মাস বয়সী এই শিশুর উপহার হিসেবে পাওয়া ৫৫ হাজার টাকা জমা পড়েছে মেয়রের ত্রাণ তহবিলে।

কর্মহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তায় ব্যয় হবে এই টাকা। শিশু সোয়াইব মহানগরীর উপশহর এলাকার আলমগীর ও সুফিয়া বেগম দম্পতির সন্তান।

শিশুপুত্রকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে আসেন বাবা-মা। শিশু সোয়াইবের উপহার পাওয়া ৫৫ হাজার টাকা তুলে দেন মেয়রের হাতে। এতে আবেগাপ্লুত ও অভিভূত মেয়র লিটন। তাৎক্ষণিক কোলে তুলে নেন ত্রাণ তহবিলের সর্বকনিষ্ঠ দাতা শিশু সোয়াইবকে।

শিশু সোয়াইবের বাবা মো. আলমগীর বলেন, আমার দুই মেয়ে সন্তান আছে। ছোট মেয়ের জন্মের ১৫ বছর পর পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছি। এ উপলক্ষে শিশুপুত্র সোয়াইবকে অনেক আত্মীয়-স্বজন উপহার ও নগদ অর্থ দিয়েছেন।

শিশু সোয়াইবের ৫৫ হাজার টাকা আজ মেয়রের ত্রাণ তহবিলে দিয়েছি। আসলে মেয়র মহোদয় মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এটি ছেলের মা সুফিয়াকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। তার উৎসাহে ছেলেকে নিয়ে নগর ভবনে হাজির হয়েছি।

অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে মেয়র মহোদয় আপ্রাণ প্রচেষ্টা করছেন, সেজন্য মেয়রের ত্রাণ তহবিলে কিছু অর্থ দিতে পেরে আমাদের অনেক ভালো লাগছে। আমাদের সমাজের সামর্থ্যবানদের উচিত মেয়রের মহতী উদ্যোগের পাশে থাকা।

এ ব্যাপারে সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, শিশু সোয়াইব ত্রাণ তহবিলের সর্বকনিষ্ঠ দাতা। শিশু সোয়াইবের উপহারের টাকা তার হয়ে বাবা-মা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছে। বিষয়টি আমাকে আবেগ্লাপুত ও অভিভূত করেছে। আজকের এই শিশুরাই আগামীর দিনের ভবিষ্যৎ। বাবা-মায়ের সঠিক আদর্শে শিশুরা প্রকৃত মানুষ ও মানবিক হয়ে বড় হয়ে উঠুক-এই দোয়া করি।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ এপ্রিল এক বিবৃতিতে কর্মহীন ও নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ত্রাণ তহবিলে নগদ অর্থ এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রদানের আহ্বান জানান মেয়র। এরপর মেয়রের আহ্বান সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসছেন অনেক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।