করলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে বেতাগীর চাষিদের

:
: ২ years ago

মহামারি করোনার পরেই করলা চাষে ঝুঁকেছেন উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীর চাষিরা। অল্প সময়ে কম পুঁজিতে বেশি লাভ হয় বলেই তারা আগ্রহী হয়েছেন করলা চাষে। অনুকূল আবহাওয়া থাকার কারণে এ মৌসুমে ভালো ফলন হয়েছে এবং গরম ও  রমজামে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুসারে জানা গেছে, বেতাগী পৌরসভাসহ ৭ টি ইউনিয়নে এ মৌসুমে ২২৭ হেক্টর জমিতে করল্লা চাষ হয়েছে। সাধারণত রোপণের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। মাত্র দেড় মাসে ফলন পাওয়া যায় বলে এই ফসলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। এ কারণে এ উপজেলায়  করলা চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
 চলতি মৌসুমে গত দু’বছরের তুলনায় করলার ফলনও দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি এবার দামও ভালো পেয়েছেন চাষিরা। চাষিদের কাছ থেকে সংগৃহিত করলা এ অঞ্চলের সবজির স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
 পৌর শহরের সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহমান জানান, কয়েক বছর ধরে এ উপজেলার উৎপাদিত করলাই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। রোজা ও গরমে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’
 পৌর শহরের  বাজার, বিবিচিনি, পুটিয়াখালী, মোকামিয়া, হোসনাবাদ, কাজিরহাট, কুমড়াখালী, চান্দখালী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব করলা।  রোজা ও গরম আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা। গত কয়েকদিন আগে জাতভেদে কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে কেজি প্রতি ৫০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হোসনাবাদের করলা চাষি সাদ্দাম হোসেন জানান, গত বছর থেকেই করলা চাষ করে লাভবান হচ্ছি। আমার দেখাদেখি গ্রামের অন্য চাষিরাও করলা চাষে ঝুঁকছেন।’
 উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এবার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় আগামীতে এর চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করছি। এর ফলন আরো ভালো করার লক্ষ্যে কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তারা চাষিদের প্রয়োজনীয় সহায়তাসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’