২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা অপরিবতর্তি রাখা হয়েছে। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরেও করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা রাখা হয়েছিল। বছরে কোনো ব্যক্তি ৩ লাখ টাকার বেশি আয় করলে তাকে কর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল মাত্র ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। পরবর্তী অর্থবছরেও উক্ত সীমা বহাল রাখা হয়েছে। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা, তৃতীয় লিঙ্গ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা বেশি। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে স্টক মার্কেটে নন-লিস্টেড কোম্পানির করহার ছিল ৩৭.৫ শতাংশ, যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব প্রণয়নের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে দেশে একটি শক্তিশালী কর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অব্যাহতভাবে করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব কর নীতি অনুসরণ করে চলেছে। এ নীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ক্রমান্বয়ে করের বোঝা কমিয়ে অর্থনীতিতে বিনিয়োগের পরিমাণ এবং কর জিডিপির অনুপাত বাড়ানো ও করদাতাদের মাঝে কর প্রতিপালনের আগ্রহ বৃদ্ধি করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনুসৃত করনীতির আলোকে ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত স্টক মার্কেটে লিস্টেড কোম্পানি এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ২৭.৫ শতাংশ ও ৪২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ২২.৫ শতাংশ ও ৩৭.৫ শতাংশে হ্রাস করা হয়েছে। সরকারের এই যুগোপযোগী কর নীতির ফলে করদাতাদের মধ্যে যেমন কর পরিপালনে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তেমনই দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পরিমাণও বেড়েছে।’