কম্বল পেয়ে খুশি একই পরিবারের প্রতিবন্ধী দু’ভাই

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ভালো করে কথা বলতে পারে না। হাঁটতেও পারে না। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েই একই পরিবারে জন্মগ্রহন করেন নজরুল হাওলাদার (৪১) এবং আসলাম হাওলাদার (২৮)। বরগুনার বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

 

বেসরকারি সংস্থা কোডেক থেকে একই পরিবারের প্রতিবন্ধী দু’ভাই নজরুল ও আসলাম কম্বল পেয়ে খুশি হয়েছেন।

 

 

জানা গেছে, নজরুল হাওলাদার ও আসলাম হাওলাদারের বাবার নাম হানিফ হাওলাদার এবং মা ফুলবানু বেগম। হানিফ হাওলাদার দিনমজুরের কাজ করতো। ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর হানিফ হাওলাদার মারা যায়।

 

বাবা-মায়ের ৬ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে নজরুল প্রথম এবং আসলাম ৫ম। নজরুল তাঁর মাতৃগর্ভ থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে গ্রহণ করে এবং তাঁর ছোট ভাই আসলাম জন্মের ২ বছরের সময় পোলিও হয়ে ডান পা ও হাত বেঁকে যায়।

 

অর্থাভাবে উন্নতি চিকিৎসা করতে পারেনি। এরপর থেকে হয়ে যায় শারীরিক প্রতিবন্ধী। হাঁটতে পারে না এবং ডান হাত দিয়ে ভালোভাবে ধরতেও পারে না। তবে বসতে পারে এবং সবার সাথে ভালোভাবে কথা বলতে পারে।

 

 

জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট-কোডেক এর আওতায় বরগুনার বেতাগীতে ৮০ জন পঙ্গু , হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে  শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।

এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় চিকিৎসা উপকরণ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সংস্থার কার্যালয়ে আঞ্চলিক ব্যাবস্থাপক আব্দুল মান্নান মোল্লা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম পিন্টু, বিশেষ অতিথি উপজেলা এনজিও ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি কালের কন্ঠ’র উপজেলা প্রতিনিধি স্বপন কুমার ঢালী,

 

নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি মো. কামাল হোসেন খান, কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্য জেসমিন আক্তার। আলোচনা শেষে অতিথিরা ৮০ জন প্রতিবন্ধী, পঙ্গু ও হতদরিদ্রদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন। এ সময় কম্বল পেয়ে খুশি হয়েছে এমন মতামত প্রকাশ করেছেন অনেকে।

 

একই পরিবারের শারীরিক দু’ প্রতিবন্ধী নজরুল ও আসলাম জানায়,‘ শীতের মধ্যে তাঁরা কম্বল পেয়ে খুশি হয়েছে।’

এছাড়া ৬টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় ওজন পরিমাপক, রক্তচাপ নির্নয়, থার্মোমিটার ও ডায়াবেটিকস পরিমাপের যন্ত্র বিতরণ করা হয়।

 

চোখের ছানি ও নারীদের জড়ায়ু অপারেশন করার জন্য ৬০ জন উপকারভোগীদের প্রত্যেকে ৬ হাজার টাকা চিকিৎসার খরচ বাবদ প্রদান করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কোডেক ব্যাবস্থাপক মজিবুর রহমান।