কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১টার দিকে সৌদি সরকারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে লন্ডনের লুটন বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
সেখানে ব্রিটিশ সরকারের কমনওয়েলথ ও পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রটোকল পরিচালক নেইল হল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন তাকে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নেওয়া হয় ক্লারিজ হোটেলে। সাত দিনের লন্ডন সফরে ওই হোটেলে থাকবেন তিনি। হোটেলে পৌঁছালে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা জানান।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের আমন্ত্রণে ২৫তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। ১৭ থেকে ২১ এপ্রিল যুক্তরাজ্য সফরে থাকবেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে লন্ডনের ওয়েস্ট মিনস্টারে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার: মেইকিং ইকুইটেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি প্রাইমারি এডুকেশন অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস অ্যাক্রস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
সেখানে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক সহায়তা বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। বিকেলে যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা ওডিআই আয়োজিত ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি: নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা থাকবেন তিনি।
এছাড়া ১৮ এপ্রিল এশীয় নেতাদের অংশগ্রহণে ‘ক্যান এশিয়া কিপ গ্রোইং?’ শীর্ষ একটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন। সেদিন বিকেলে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেবেন। ১৯ এপ্রিল কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের উদ্বোধনী ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
কমনওয়েলথ মহাসচিবের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেওয়া নৈশভোজেও অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ২০ এপ্রিল সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেওয়ার পরদিন তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত সংবর্ধনা ও রানির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার সঙ্গে আছেন। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।