সোমবার আনুমানিক সকাল ১০টা। শরিফুল নামে এক ব্যক্তি মৃত নবজাতককে দাফন করতে আজিমপুর পুরাতন কবরস্থানে নিয়ে এলেন।
কবরস্থানের মোহরার হাফিজুল ইসলাম নবজাতককে গোসল করাতে গোসলখানায় পাঠান। এসময় তিনি বাহক শরিফুলের কাছ থেকে অভিভাবকের নাম ঠিকানা লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গোসলখানায় জেসমিন আক্তার ঝর্ণা নামে এক নারী নবজাতকের গায়ে পানি ঢালতেই নবজাতকটি মৃদু নড়েচড়ে ওঠে। চোখে ভুল দেখছেন ভেবে আবার পানি ঢালতেই দেখেন শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করছে। এবার তিনি অফিসে দৌড়ে গিয়ে খবর দিলে মোহরারসহ উপস্থিত সকলে ছুটে যান। বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেন নবজাতক শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে।
বেলা পৌনে ১১টায় মোহরার হাফিজুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে সকাল ১০টায় মৃত ঘোষিত নবজাতককে দাফনের জন্য আনা হয়। নবজাতককে আবার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঢামেক হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেটে নবজাতক মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এতে নবজাতকের পিতার নাম- মিনহাজ। ঠিকানা- ধামরাই, ঢাকা লেখা হয়েছে।
মোহরার নিজে নবজাতককে নড়াচড়া করতে দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি তখন ডেথ রেজিস্টারে তথ্য লিখছিলেন। এ সময় ঝর্ণা এসে নবজাতক নড়াচড়া করছে বললে অভিভাবক দৌড়ে যান। হয়তো তারা নড়াচড়া করতে দেখেছেন বলে হাসপাতালে আবার নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, হায়াত থাকলে নবজাতকটি হয়তো বেঁচে যাবে।