পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
রোববার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে কোয়ার্টার্লি কনফারেন্সে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
আইজিপি বলেন, ‘আসন্ন কনস্টেবল নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। যাতে এ নিয়োগ নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত না হয়। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরা সুষ্ঠুভাবে কনস্টেবল নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারবো।’
কনফারেন্সে সারা দেশের থানা পর্যায়ের সেবা নিয়ে আইজিপি বলেন, কোনো সাধারণ ও নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। থানাকে পুলিশি সেবা প্রদানের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মানুষের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে, তাদের সমস্যা ও অভাব অভিযোগ শুনতে হবে।
জঙ্গিবাদের বিষয়ে আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশের অনন্য অবদান রয়েছে। বর্তমানে দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আছে। জঙ্গিরা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করার জন্য তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তরিক সহযোগিতায় আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হবো।
কনফারেন্সে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন ও অপারেশনস) মো. মোখলেসুর রহমান, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন, পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপ্যাল মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এপিবিএনের অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, রেলওয়ের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, ডিএমপির পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত আইজিপি মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আবদুস সালাম, এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি মো. মহসিন হোসেন, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ১০ হাজার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এদের মধ্যে ৮ হাজার ৫০০ জন পুরুষ এবং এক হাজার ৫০০ নারী সদস্য নিয়োগ দেয়ার কথা ছিল। তবে ‘অনিবার্য কারণবসত’ ১৪ জানুয়ারি এই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি আবারও নতুন করে ১০ কনস্টেবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়।