চট্টগ্রাম থেকে কন্টেইনারে করে মালয়েশিয়া চলে যাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের প্রতিবন্ধী কিশোর মো. রাতুল ইসলাম ফাহিম অবশেষে বাড়িতে ফিরেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাতুলের বাবা মো. ফারুক মিয়া। এর আগে, গতকাল সন্ধ্যায় রাতুল মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপুকুরিয়া গ্রামে তার বাড়িতে পৌঁছায়।
রাতুলের বাবা বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। রাতুল আমাদের কাছে ফিরে এসেছে। তবে কীভাবে সে কনটেইনারে করে মালয়েশিয়া চলে গিয়েছিল, সে বিষয়ে এখনো কিছু বলতে পারছে না। এদিকে, ৯০ দিন পর ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তার বাবা-মাসহ স্বজনরা।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় রাতুল। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মোকছেদ আলী। পরে ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাতুলকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
ফারুক মিয়া আরো বলেন, ‘আমি পেশায় দিনমজুর। আমার তিন ছেলের মধ্যে রাতুল বড়। গত বছরের ১৩ নভেম্বর সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। ২০ জানুয়ারি জানতে পারি, রাতুল মালয়েশিয়ায় আছে।’
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘এমভি ইন্টেগ্রা’ জাহাজের একটি খালি কনটেইনার মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে জাহাজের একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে মানুষের শব্দ শুনতে পান নাবিকেরা। এরপরই কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তারা।
১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় জাহাজটি জেটিতে এনে কনটেইনার খুলে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখে রাতুলকে শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা।