বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শওকত আলী আর নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বরেণ্য এই কথাসাহিত্যিক শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল হারুন এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে শওকত আলী মারা গেছেন।
শওকত আলীর ছেলে আসিফ সৈকত কল্লোল এনটিভিকে বলেন, এই কথাসাহিত্যিকের মরদেহ এখন তাঁর পুরান ঢাকার বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে দুপুরের পর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হবে। পরে আজই তাঁকে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ফুসফুসের সংক্রমণ, কিডনি জটিলতা ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন শওকত আলী। পরে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাঁকে নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
শওকত আলী ১৯৩৬ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের সময় তাঁর পরিবার বাংলাদেশ চলে আসে। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার, অজিত গুহ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন।
প্রথম জীবনেই তিনি কমিউনিস্ট মতাদর্শে জড়িয়ে যান। তিনি বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
শওকত আলীর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘প্রাদোষে প্রাকৃতজন’, ‘অপেক্ষা’, ‘ওয়ারিশ’, ‘গন্তব্যে অতঃপর’, ‘উত্তরের খেপ’, ‘জননী’, ‘পিঙ্গল আকাশ’, ‘দক্ষিণায়নের দিন’, ‘কুলায় কালস্রোত’, ‘পূর্বরাত্রি পূর্বদিন’ ইত্যাদি।