বরিশালে শিশু গৃহকর্মীকে আটকে অমানুষিক নির্যাতন, গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তার(ভিডিও)

:
: ৬ years ago

আবারো প্রশ্নবিদ্ধ হলো মানবতা। পৈচাশিকতার শিকার হলো আরো একটি কোমলমতি প্রাণ। হয়তো গরিব ঘরে জন্ম নেয়াটাই তার অপরাধ! বলছি ক্ষুধার জালায় সামান্য খাবার চুরির অপরাধে দিনের পর দিন গৃহকর্তা ও গৃহিণীর মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার মাত্র ১০ বছর বয়সী গৃহকর্মী লামিয়া আক্তার মরিয়মের কথা। ১৫ অক্টোবর বিকেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি আভিযানিক দল গোপন মাধ্যমে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে। এসময় শিশু লামিয়ার সারা শরীরজুড়ে ছিলো কেবলই নির্মম নির্যাতনের চিত্র। অবুঝ এ শিশুর আঘাতে জর্জরিত শরীর দেখে মনের অজান্তেই প্রশ্ন জেগে ওঠে “কতটুকু খাবার চুরি করে খেতে পারে লামিয়ারা? এই বর্বরতার শেষ কোথায়??

এ ঘটনায় গৃহিনীকে আটক করতে পারলেও গৃহকর্তা পলাতক রয়েছে।

অদ্য ১৫/১০/১৮ খ্রিঃ এসআই/মোঃ ইউনুস আলী ফরাজী ও তার সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ বরিশাল মহানগরী এলাকায় মাদকদ্রব্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বিশেষ অভিযান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ডিউটি করার সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানাধীন ২৯নং ওয়ার্ডের মদিনা সড়কের “আকাশ মঞ্জিল” ডি/১, চর্তুথ তলার ভাড়া বাসা হইতে সময় ১৯.০৫ ঘটিকায় ভিকটিম মোসাঃ লামিয়া আক্তার মরিয়ম (১০), পিং- মোঃ ইকবাল সরদার, মাতা- হালিমা বেগম, সাং- নোয়াপাড়া, বাটাজোড়, থানা- গৌরনদী, জেলা- বরিশাল, এ/পি- জনৈক রুমা বেগমের “আকাশ মঞ্জিল” ডি/১, চর্তুথ তলার ভাড়াটিয়া (আসামী মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরীর ভাড়া বাসা), মদিনা সড়ক, কাশিপুর, ২৯নং ওয়ার্ড, থানা- এয়ারপোর্ট, বিএমপি, বরিশালকে উদ্ধার করেন এবং উক্ত বাসার গৃহকর্মী (১) মোসাঃ শারমিন আক্তার (৩০), স্বামী- মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, পিং- মোঃ মজিবুর রহমান শেখ, মাতা- মোসাঃ সুলতানা বেগমকে আটক করেন।

উক্ত ভিকটিম মোসাঃ লামিয়া আক্তার মরিয়ম (১০) গ্রেফতারকৃত আসামী (১) মোসাঃ শারমিন আক্তার (গৃহকমী) ও (২) পলাতক আসামী মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী দীঘদিন যাবত উক্ত ভিকটিমকে আটক রাখিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করিত। গ্রেফতারকৃত আসামী মোসাঃ শারমিন আক্তার (৩০) ও পলাতক আসামী মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী (৩০) দ্বয় ভিকটিম লামিয়া আক্তার এর দাদীকে প্রলোভন দেখাইয়া ভিকটিম লামিয়া আক্তার মরিয়ম (১০) কে পলাতক আসামী আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী ভিকটিমকে আনায়ন করিয়া উভয় স্বামী-স্ত্রী ঘটনাস্থল ভাড়া বাসায় আটক রাখিয়া তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক শ্রম শোষনের লক্ষ্যে দিবারাত্রি মারধরসহ মাথার চুল কামিয়ে দিয়ে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিয়া হাড়ভাঙ্গা জখমসহ সাধারন নীলা ফুলা জখম করে।

ধৃত ০১নং আসামী মোসাঃ শারমিন আক্তার (৩০), পলাতক ০২নং আসামী মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী (৩০), দ্বয়ের বিরুদ্ধে সংশ্øিষ্ট আইনে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা রুজু করা হয়। ভিকটিমকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সু-চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।