কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। গত কয়েক সপ্তাহে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বুধবার মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে কাতারে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছেই। বুধবার দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯৪০ জন। ফলে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কাতারে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৬ হাজার।
কাতারের হামাদ মেডিকেল কর্পোরেশনের উপ-প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ আল খাল বলেন, করোনার যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি কাতারে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
জিম, সুইমিংপুল, ওয়াটার পার্ক, স্পা ছাড়াও নতুন বিধি-নিষেধের কারণে জাদুঘর, সিনেমা, লাইব্রেরি এবং নার্সারি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্টের ভেতরে বসে খাবার খাওয়া যাবে না এবং কোনো খাবারের দোকান, ক্যাফে বা রেস্টুরেন্ট খোলা জায়গায় চালু করা যাবে না। একই সঙ্গে পার্ক এবং বীচে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা এবং সাইক্লিংয়েও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। সামাজিক সমাবেশ বা ছোট পরিসরে লোক সমাগম করা যাবে না। ভ্যাকসিন নিয়েছেন এমন পাঁচজন খোলা স্থানে সাক্ষাত করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
নতুন বিধি-নিষেধ অনুযায়ী, সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশের বেশি লোকজন উপস্থিত থাকতে পারবেন না। বাকিদের বাড়ি থেকেই কাজ করতে হবে। প্রতিদিনের নামাজ এবং জুমার নামাজের জন্য মসজিদ খোলাই থাকছে। তবে রমজান মাসে বাড়িতে বসেই নামাজ আদায় করতে হবে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে আল খাল বলেন, কাতার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝামাঝিতে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, গত দু’সপ্তাহ ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটেও রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
সংক্রমণের গতি রোধ করতে গত মাসে দেশব্যাপী লকডাউন জারির আহ্বান জানিয়েছিলেন কাতারের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তারপরেই দেশটির সরকার কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিল।