ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি হোম সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ- এটা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। তবে, করোনার কারণে সময়সূচি সম্পর্কে একটা দ্বীধা-দ্বন্দ্ব ছিল। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে একটা সময় জানিয়ে দেয়া হলো আজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি রিকি স্কেরিট আশা প্রকাশ করছেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে তারা পূর্ণ শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকেই পাঠাতে পারবে বাংলাদেশে।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সঙ্গে যে তথ্য জানিয়েছেন, সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য কিছুটা হতাশার। স্কেরিট জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ সফরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নয়, তারা খেলবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুসারে বাংলাদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফর নির্ধারিত ছিল ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই। যে সফরে দু’দেশ খেলার কথা তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টেস্ট সিরিজ হওয়ার কথা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে।
চলতি মাস (নভেম্বর) প্রায় শেষ হতে চললো। এর মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে যে দু’তিনটি দেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেনি গত মার্চ থেকে, তাদের মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রিকি স্কেরিট জানিয়েছেন, ‘তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে কমিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে পরিণত করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো বিষয়টা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সমস্যা হচ্ছে, ব্যাপারটাকে আমরা নানা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখছি। যেমন- কোভিড-১৯, সূচি, খরচ, এমন অনেক কিছুই। গত কয়েক মাসে কোভিড-১৯ বিশ্ব ক্রিকেটের রাজস্ব আয়কে একেবারে শূন্যের কোটায় নামিয়ে এনেছিল। আমরা বাংলাদেশে আসতে চাই, কারণ আমরা সম্পর্কটাকে সম্মান করি। আবার আমাদের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিও রয়েছে।’
রিকি স্টেরিট নিশ্চিত করেছেন, সেরা দলটাই তারা পাঠাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে চাই যে, যারা অ্যাভেইলেবল থাকবে, তাদের মধ্য থেকে সেরা দলটাইকেই পাঠাবো। শুধু বাংলাদেশেই নয়, যে কোনো সফরেই আমরা সেরা দলটিকে পাঠানোর চেষ্টা করি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সফর সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। কারণ, সেখানকার আবহাওয়া এবং পরিবেশ। আমাদের আবহাওয়া এবং পরিবেশের সম্পূর্ণ বিপরীত। তবে, আমরা সব সময়ই বাংলাদেশে ভালো খেলে থাকি। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আমাদের খেলোয়াড়রাও ভালোবাসে।’
গত বুধবার মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনও জানিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড তাদের কাছে অনুরোধ করেছে, সিরিজে একটি টেস্ট কমিয়ে দিতে। কারণ, বায়ো-বাবল পরিবেশে থাকতে গেলে সফরের সময়টা বেশ লম্বাই হয়ে যাবে।