চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি আমবাগানে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে আহত হয় স্কুলছাত্র রিমন (১১)। অর্থের অভাবে থেমে আছে চিকিৎসা। সন্তানের সুস্থতা কামনায় বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন দরিদ্র বাবা-মা।
রিমন শিবগঞ্জ পৌরসভার চতুরপুর মহল্লার আনারুল ইসলামের ছেলে ও আলীডাঙা জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সম্প্রতি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে সে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে শিবগঞ্জ পৌর চতুরপুর মহল্লায় ইমনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি কক্ষে বিছানায় শুয়ে আছে রিমন। পাশেই বসে অঝোরে কাঁদছেন মা শিউলি বেগম।
রিমনের মা শিউলি বেগম বলেন, ‘ছেলের চিকিৎসার জন্য বাড়ির চারটি ছাগল বিক্রি করেছি। এর পাশাপাশি আশপাশের লোকজনদের কাছ থেকে কিছু টাকা কর্জ নিয়েও চিকিৎসা করিয়েছি। তারপরও ভালো হলো না আমার রিমন। আমার ছেলের এখন পড়ার টেবিলে থাকার কথা। কিন্তু সে এখন চোখের ব্যথায় কাতর হয়ে শুয়ে আছে। এ কষ্ট আমি কীভাবে সইবো?’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলেছেন একমাস পর ফের ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। প্রতি তিন মাস পরপর অপারেশন করা লাগবে। কিন্তু এত টাকা আমরা পাবো কোথায়? আমার স্বামী একজন ভ্যানচালক। ছেলের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছি।’
ছেলের সুস্থতায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন শিউলি বেগম।
গত ১৮ মার্চ দুপুরে স্টেডিয়াম সংলগ্ন পশ্চিম দিকের আমবাগানে পাতা কুড়াতে যায় রিমন ও তার ছোট ভাই ইকবাল। এসময় রিমন একটি পরিত্যক্ত ককটেল দেখে লাথি মারলে বিস্ফোরণ হয়। এতে রিমনের বাম চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম হয়।
শিবগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল ইসলাম বলেন, রিমনের পরিবার সহযোগিতা চাইলে তাদের সাধ্যমতো সহায়তা করা হবে।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, পরিত্যক্ত ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহতের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।