#

ভারতের বহু পুরোনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কিন্তু সেটার জন্য রাজস্থানের মুকুট ছাড়তে নারাজ তিনি। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে দলের রাজস্থানের বিধায়কদের এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন অশোক গেহলট। ফলে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে নতুন করে জটিলতা তৈরি হওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। শনিবার থেকে শুরু হবে মনোনয়ন পেশ। তাতে শশী থারুর যে মনোনয়ন দেবেন সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। সোমবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে থারুর সেই জল্পনা আরও উসকে দিয়েছেন।

তবে গান্ধী পরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠরা চাইছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রার্থী করতে। গেহলট অবশ্য শুরু থেকেই পুরোপুরি রাজি নন। কারণ তিনি জানেন কংগ্রেস সভাপতি হলেও তাকে কাজ করতে হবে সোনিয়া-রাহুলদের ইশারাতেই। অথচ হাত থেকে রাজস্থানের গদি চলে যাবে বিরোধী শচীন পাইলটের হাতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশ তিনি ফেলতে পারেননি। রাজি হতে হয়েছে তাকে। তবে গেহলট জানিয়েছেন, তিনি শেষবারের মতো রাহুলকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন।

আসলে গেহলট চান মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রেখে কংগ্রেস সভাপতি হতে। যদি নিতান্তই সেটা না হয়, তাহলেও তার ঘনিষ্ঠ কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে।

অন্যদিকে কংগ্রেসের একটা অংশ চাইছে, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিতে। যাতে বিরোধিতা এড়িয়ে ফের ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস। সেই আশঙ্কা অবশ্য রয়েছে গেহলটের অন্দরেও। সেকারণেই তিনি চাইছেন রাহুলকে বুঝিয়ে রাজি করাতে।

বুধবার সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই গেহলট যাবেন কেরালায়। সেখানেই ভারত জোড়ো যাত্রার নেতৃত্বে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। শচীন পাইলটও এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন।

গেহলট বলছেন, তিনি শেষবারের মতো রাহুলকে সভাপতি হওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করবেন। নেহাতই তিনি রাজি না হলে সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন। শুধু তিনি একা নন, বুধবার আরও ৩ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি রাহুলকে সভাপতি করার দাবিতে প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। কিন্তু শেষে রাহুল তাতে রাজি হবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন