আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইন পরিপন্থী ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোনো বক্তব্য বা আচরণ সহ্য করা হবে না।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান, তাদের সতর্ক করছি। মানুষ ও দেবতার ভাস্কর্য যারা গুলিয়ে ফেলে তাদের বিবেক দিয়ে, অন্তর দিয়ে বাস্তবতা অনুধাবন করে ভবিষ্যতে পথচলা উচিত। কোনো ধরনের উসকানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা সবাই ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিন শুরু হয় ফজরের নামাজ আর কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের পাশাপাশি মডেল মসজিদও নির্মাণ হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও কওমি মাদরাসারও স্বীকৃতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজের লোক দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা যাবে না। দলকে শক্তিশালী করতে নিবেদিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। চিহ্নিত অপরাধী, দখলদার, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, নারী অবমাননাকারী বিতর্কিত লোকদের দলে আনা যাবে না। একটি খারাপ কাজ দশটা ভালো কাজ ঢেকে দিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এসব কথা শোনেন, গণমাধ্যমে দেখেন তখন খুব কষ্ট পান।
প্রধানমন্ত্রী অনেক কষ্ট করে বঙ্গবন্ধুর এই দলকে সারাদেশ ঘুরে ঘুরে সুসংগঠিত করেছেন। যে দু-একজনের জন্য সংগঠনের বদনাম হচ্ছে, তাদের দল থেকে বের করে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কার মদদে যুব মহিলা লীগে বড় একটি পদে পাপিয়ার মতো মেয়েরা আসে। সাপোর্ট না থাকলে কীভাবে আসে? এসব বিষয় সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা অতীতে যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, এবার থেকে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না। বিদ্রোহীদের পেছনে যেসব নেতার মদদ রয়েছে, তাদের ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে। দলের সভাপতি যেখানে নৌকা প্রতীক তুলে দেন সেই জায়গায় বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার অর্থ কী? ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কর্মকাণ্ড না হয়। একই সঙ্গে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ যেন কোনো অপকর্ম করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাউছার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম হিরু (বীরপ্রতীক), পলাশ আসনের সংসদ সংদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি এম তালেব, সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী, নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন মানিক প্রধানসহ জেলার নেতারা।