লকডাউনে বেশির ভাগ মানুষই এখন ইন্টারনেট-নির্ভর বিনোদনে সময় কাটাচ্ছেন। আর এ সুযোগে হ্যাকাররা ফাঁদ পাতছে বাড়ির ওয়াইফাই রাউটার, মোবাইল নেটে।
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কিছু নামি দামি সংস্থার রাউটারগুলো হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। অর্থাত্, কিছু হ্যাকার বাড়িতে ব্যবহূত রাউটারগুলোকে হ্যাক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেখা গেছে, হ্যাকাররা ডিভাইসগুলোকে হ্যাক করে তার ডিএনএস পরিবর্তন করে দিচ্ছে। ফলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের অজান্তেই ভুল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ফেলছেন।
সাম্প্রতিককালে অনেকেই করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত ভুয়া অ্যাপ, এপিকে ফাইল বা লিঙ্ক ডাউনলোড করে বিপদে পড়েছেন। জানা গেছে, হ্যাকারদের এই নতুন কারসাজিতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডি-লিঙ্ক ও লিঙ্কসিস রাউটার। সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনোভাবে যদি হ্যাকাররা আইপির মাধ্যমে রাউটারগুলো হ্যাক করতে পারে, তাহলে তারা অনায়াসেই সেখান থেকে যে কোনো তথ্য পেয়ে যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও অভিযোগ জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ করোনা ভাইরাস নিয়ে ভুয়া খবর পাচ্ছে। এর একমাত্র কারণ, তারা হ্যাকারদের ফাঁদে পা দিয়ে নকল অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই নকল অ্যাপ্লিকেশনগুলো সাধারণত অক্সি ডেটা স্টেলার ‘টরজান’-এর সংস্করণ। এটি সাধারণত অর্থ প্রদানের তথ্য, ব্রাউজার, প্রশংসাপত্র ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য চুরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহূত হয়। আর হ্যাকাররা যদি একবার রাউটার হ্যাক করতে পারে তাহলে তারা তাদের ইচ্ছে মতো সেটিকে ব্যবহার করবে। এই প্রসঙ্গে ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন সাধারণত কিছু সহজ পাসওয়ার্ডের কারণে হ্যাক হয় রাউটারগুলো।